সিদ্ধিরগঞ্জে এক তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- শফিক (২৪), সাইদুল (৫৯), নাজমুল (২১), শামসু (২৮), ফয়সাল (২৪) ও রাশেদ (২২)। আসামিদের প্রত্যেকের বাড়ি বরিশাল জেলায়। এ ছাড়া এজাহারের প্রথম চারজন আপন ভাই।
পুলিশ জানায়, মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণীও নারায়ণগঞ্জে থাকেন না। তিনি থাকেন রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জালকুঁড়ি দশপাইপ এলাকায় মাইক্রোবাসের ভেতর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন আসামিরা।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, অভিযুক্ত আসামিরা তার মায়ের কাছে চার লাখ টাকা পেতেন। এই পাওনা সংক্রান্ত প্রমাণস্বরূপ তার মায়ের স্বাক্ষরিত একটি স্ট্যাম্প ২ নম্বর বিবাদী সাইদুলের কাছে ছিল। তবে অভিযুক্তদের পাওনা টাকা পরিশোধ করার পর ওই তরুণীর মা তার স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্পটি ফেরত চান। তবে অভিযুক্তরা স্ট্যাম্প ফেরত না দিয়ে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে ওই তরুণীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন, ‘বাদী ও অভিযুক্তদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। শনিবার রাতে ওই তরুণীকে মাইক্রোবাসে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তার অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত করছি। এ ছাড়া এ ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার বাদী ও বিবাদীরা কেউই এই জেলার বাসিন্দা না। বিবাদীদের মধ্যে চারজনই আপন ভাই বলে জানতে পেরেছি। যদিও বিষয়টি সন্দেহজনক। তবে সেনসিটিভ ইস্যু হওয়ায় আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি দেখছি। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’