ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন বা জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানকে আধুনিকায়ন এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ প্রক্রিয়াকে সহজ, স্বচ্ছ ও পরিবেশবান্ধব করতে আজ উদ্বোধন করা হলো অত্যাধুনিক ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম।
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্ল্যাটফর্মটির উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এখন থেকে দর্শনার্থীরা myGov ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, www.nbg.portal.gov.bd বা বন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে কিউআর কোড সম্বলিত টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন, যা স্মার্টফোন বা প্রিন্ট আউট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বন অধিদপ্তর ও এটুআই (a2i)-এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত এই প্ল্যাটফর্ম দেশের উদ্যান ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল রূপান্তরের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখন থেকে দর্শনার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে টিকিট কিনে নির্ধারিত তারিখে উদ্যান পরিদর্শন করতে পারবেন। এতে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা দূর হবে, সময় সাশ্রয় হবে এবং টিকিট বিক্রয় প্রক্রিয়ায় আসবে পূর্ণ স্বচ্ছতা। কাগজের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায় এটি পরিবেশ সংরক্ষণেও অবদান রাখবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, প্রাকৃতিক বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং জনগণের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্মার্ট সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার এক নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। তিনি দেশের অন্যান্য পরিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও এ ধরনের ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই উদ্যোগে নগরবাসীর প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। নতুন এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উদ্যান ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে এবং গবেষণার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোঃ আব্দুর রফিক, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বন) শামিমা বেগম এবং সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বন অধিদপ্তর, এটুআই, আইসিটি বিভাগ, জাতীয় চিড়িয়াখানা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়ামসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও পরিবেশকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। এই ই-টিকিটিং উদ্যোগ শুধু সেবাকে আধুনিক করবে না, বরং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারি সেবার একটি উদাহরণযোগ্য মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।