বুধবার ১২ নভেম্বর ২০২৫ ২৮ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার ১২ নভেম্বর ২০২৫
দৈনিক ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির আশা পেট্রোবাংলার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৩২ PM
চলমান ১১টি কূপ খননের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। যা দেশের বিদ্যমান গ্যাস সংকট হ্রাসে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, বাপেক্সের নিজস্ব ৫টি রিগ এবং টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের ৩টি রিগসহ মোট ৮টি রিগের মাধ্যমে কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের রিগ দ্বারা তিতাস-২৮ উন্নয়ন কূপ খনন কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে বিজিএফসিএল-এর সাথে টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের আরও ১টি রিগের মাধ্যমে তিতাস-৩১ ডীপ অনুসন্ধান কূপের খনন কার্যক্রম শুরু করার কথা রয়েছে। 

এছাড়াও ভোলা এলাকায় ৫টি কূপ খননের লক্ষ্যে বাপেক্স ও টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের মধ্যে অতি শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ফলে ভোলা এলাকায় কূপ খননের লক্ষ্যে আরো একটি রিগ নিয়োজিত হবে। বাপেক্স কর্তৃক খনন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাপেক্সের ৫টি রিগের পাশাপাশি আরো ২টি নতুন রিগ ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কূপ খননের ওই কার্যক্রম সফল হলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে রেকর্ড হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে অতীতে কোন সময়েই একসঙ্গে ১১টি রিগ ব্যবহার করার নজীর নেই। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ঢিলেমির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই দূয়োধ্বনি শুনতে হচ্ছে পেট্রোবাংলাকে। সেই ঢিলেমি ফেলে অনন্য নজীর স্থাপন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

পেট্রোবাংলা বলেছে, ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৫০টি ও ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার কর্মপরিকল্পনাসহ দেশের বিভিন্ন ব্লকে অনুসন্ধান ও নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স) কর্তৃক জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মত ব্লক-৮ এ বাণিজ্যিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। জামালপুর স্ট্রাকচারে গ্যাসের রিজার্ভের পরিমাণ ও বিস্তৃতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে আরও ২টি (১টি উন্নয়ন ও ১টি অনুসন্ধান) কূপ খননের ডিপিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এছাড়াও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)-এর অর্ন্তগত হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে সিলেট-১০ কূপ খননের সময় উক্ত এলাকায় জ্বালানি তেলের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। হরিপুর স্ট্রাকচারে মজুদকৃত জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে সিলেট-১২ তেল কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

দেশের সিলেট অঞ্চলের পর গ্যাসের সবচেয়ে বড় রিজার্ভ ধারণা করা হচ্ছে ভোলা অঞ্চলে। ওই অঞ্চলে যেখানেই কূপ খনন করা হচ্ছে সেখানেই গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। ভোলা এলাকায় প্রাপ্ত গ্যাসের মজুদ ও বিস্তৃতি নির্ণয়ের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় আরও ১৯টি নতুন কূপ খননের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত