জনবল সংকটে যখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্বাস্থ্যকর তখন নিজ উদ্যোগে পরিষ্কারের জন্য ফিরে এলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ঘটনাটি গত শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পৌরসভার হরিজন সম্প্রদায় পরিছন্নতা কর্মীর সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান, চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান বলেন, একদিন আগে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখলাম হাসপাতালের চতুর্পাশে অনেক ময়লা জরাজীর্ন হয়ে আছে। তা দেখে গলাচিপা পৌরসভার বিশ জন পরিষ্কার-পরিছন্নতা কর্মী পাঠিয়ে হাসপাতাল ও হাসপাতালের ওয়ার্ড গুলোর বাথরুম, হাসপাতালের আশেপাশের পরিত্যাক্ত ভবনগুলো পরীক্ষা করে মশা ধ্বংস করা স্প্রে করা হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে।
গলাচিপা উপজেলা স্যানিটারি ইনস্পেক্টর বাবু শুভঙ্কর দাস বলেন, একেতো পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার রোগীরা এখানে ভর্তি হয়ে ময়লা আবর্জনা প্রতিনিয়ত হাসপাতালের আশে পাশে ও ওয়ার্ড গুলোতে ফেলে রাখে। যা দুইজন ওয়ার্ড বয়ের পক্ষে পরিষ্কার পরিছন্ন সম্ভব না। যদি রোগীর সাথে থাকা মানুষ গুলো ময়লার বক্সের ভিতরে ময়লাগুলো রাখে তাহলে হাসপাতাল পরিষ্কার পরিছন্ন থাকে।
সিনিয়র নার্স শিরিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন এক থেকে দেড় শতাধিক রোগী থাকায় আমরাও রোগীদের সেবা দিয়ে অনেক সময় ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। হাসপাতালের ওয়ার্ড গুলো ভরে যায়। যেহেতু ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল অনেক সময় দুই শতাধিকের উপরে উঠে যায়। আমাদের ডেঙ্গু ওয়ার্ডটি সবসময় পয়-পরিষ্কার রাখা হয় এবং থাকে।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মেজবাহ্ উদ্দিন বলেন, ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট লেগেই আছে। দুইজন পরিছন্নতা কর্মী আছে। প্রতিদিন ওয়ার্ড গুলোতে রোগী ভর্তিতে থাকে এক থেকে দেড় শতাধিক রোগী। দুইজন পরিছন্নতা কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার রাখা অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, প্রতি শুক্রবার হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিষ্কার পরিছন্ন করা হয় ও মশার নিধনের স্প্রে করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন। স্যারকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে শুভেছা ও অভিনন্দন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ এস.এম. সালহ্ উদ্দিন মাহমুদ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ নোমান পারভেজ, ডাঃ মোঃ নাঈমুল ইসলাম লিমন, ডাঃ তুষার আহমেদ, ডাঃ মোঃ নুরু উদ্দিন, ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান ও অফিস সহায়ক সমীরণ নন্দী প্রমুখ।