ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সংবাদটি ব্রিটেনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেনেছে ব্রিটেনসহ পুরো বিশ্ব। তবে কীভাবে এই সংবাদ প্রকাশ হলো, কি কি প্রটোকলে সেই সংবাদটি বাইরে এসেছে, সে সম্পর্কে জেনে নিই।
রানির মারা যাওয়ার খবরটি প্রথমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পর জেনেছেন সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা। আর তা করা হয়েছে বিশেষ কোড ওয়ার্ড অর্থাৎ সংকেতের মাধ্যমে। রানির কোড বা সংকেত ছিল ‘লন্ডন ব্রিজ’। তিনি মারা যাওয়ার পর বিশেষ টেলিফোন লাইনে বিষয়টি জানানোর সময় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘লন্ডন ব্রিজ ইজ ডাউন’।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের গ্লোবাল রেসপন্স সেন্টার থেকে রানির মৃত্যুর খবরটি ১৫টি দেশের সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ব্রিটিশ রানিই এসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এছাড়া রানির প্রভাব রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত এমন ৩৬টি দেশেও খবরটি পাঠানো হয়েছে। এসব দেশের প্রধানমন্ত্রী, গভর্নর জেনারেল ও রাষ্ট্রদূতরা শোক প্রকাশ করতে বাঁ হাতের বাহুতে সোয়া তিন ইঞ্চি প্রশস্ত কালো বন্ধনী পরার কথা।
তবে সাধারণ মানুষ খবরটি পেয়েছে সংবাদমাধ্যমকে জানানোর পর।
বাকিংহাম প্যালেসের ফটকে কালো নোটিশ টাঙানো হয়েছে। প্রাসাদের ওয়েবসাইটটিও একই রঙ ধারণ করবে। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অধিবেশন ডাকা হবে, সাধারণ মানুষকে কাজ থেকে দ্রুত ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আকাশপথে উড়োজাহাজের পাইলটরা রানির মৃত্যুর সংবাদটি যাত্রীদের জানানোর কথা।
রানির মারা যাওয়ায় তার বড় ছেলে প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স চার্লস রাজা হবেন। চার্লস ও নতুন রানি ক্যামিলা যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড সফর করবেন। এর সবকিছু সেই ১৯৬০-এর দশক থেকেই নির্ধারিত। রানির প্রয়াণের পরই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে।
-বাবু/এসআর