মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
মানুষের পাশে অবিরত জাহাঙ্গীর আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৭ PM
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম যে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে যাচ্ছেন তা ভবিষ্যতের জন্য হতে পারে অনন্য এক উদাহরণ। নিজস্ব স্থানে ভর করে কিংবা মানুষের কল্যাণে মেধা, শ্রম ব্যয় করে দেশের উন্নয়নের সারথি হওয়া খুব সহজ বিষয় নয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তাই দেখিয়ে চলছেন।

তিনি নিজেও বলেন, ‘মানুষের সেবা করার কোন বিকল্প নেই।’ তাই তিনি নিজেও সবসময় সচেষ্ট থাকেন সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। ফলে শহর থেকে প্রান্তিকে কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে। আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানও। তার নব নব চিন্তা আর উদ্যেগ তাঁকে এনে দিয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট। উন্নয়ন আর মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে তিনি পথ চলছেন অবিরাম। 

উচ্চশিক্ষিত, প্রতিভাবান তরুণদের দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে তিনি উদ্যমী একজন মানুষ। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সময় সুযোগ পেলে ছুটে যান গ্রাম থেকে গ্রামে। সেবার মহান ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন মরহুম রহমত উল্লাহ-আজিজা ফাউন্ডেশন। মানুষের জন্যই যে মানুষেন জন্ম তাঁর প্রমাণ দিয়েছেন তিনি করোনার কঠিন সময়েও। এসময় তিনি নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৩০ হাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, পৌঁছে দিয়েছেন সুরক্ষা ও খাদ্যসামগ্রী। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে সমস্যায় পড়া চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় সাধারণ মানুষ, দলীয় নেতাকর্মী, করোনা মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবী, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মাঝে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী হিসেবে ২৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৫০ পিপিই, ৫০ পিপিই গাউন, ১২ হাজার হ্যান্ডস্যানিটাইজার (হেক্সিসল) ও ৮ হাজার হ্যান্ড গ্লাভস প্রদান করেন।

এছাড়া করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে ধাপে ধাপে তিনি চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় রিকশাচালক, দিনমজুর, শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। যার প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল ও ১টি সাবান। তাঁর নিয়মিত সেবার অংশ হিসেবে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, ওলামায়ে কেরাম, মুক্তিযোদ্ধা, মৎস্যজীবীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। দুই উপজেলার ইমাম-মুয়াজ্জিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষক ও স্কাউটের ৯ শতাধিক সদস্যের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার প্রদান করেন। তিনি মনে করেন, ‘এ বাঙালী জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জাতি। সবসময় তারা রুখে দাঁড়িয়েছে অপশক্তির বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতি কলংকমুক্ত হয়েছে। এ শোককে  শক্তিতে রুপান্তর করে সকল দেশবিরোধী অপশক্তিকে ঐক্যবন্ধভাবে রুখে দিতে হবে আবারো। 

 সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজা নির্বিঘ্নে পালনে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বিভিন্ন এলাকার ২০টি পূজামন্ডপে নিজস্ব তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রধান করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় পূজামণ্ডপ কমিটির প্রধানদের হাতে ৪০ হাজার টাকা করে ২০টি পূজামণ্ডপের জন্য ৮ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কাজ করছি। বাংলাদেশ আজ যে উন্নয়নের মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছে, সে সড়কে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষকে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নয়ন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হবে সোনার বাংলা। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে বাংলার সকল ধর্মের মানুষ কিছু পায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও অনুদান দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার মন্দির ও পূজামণ্ডপের সংষ্কারে বিগত সময়ে ১০ কোটির টাকার উপরে সরকারি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম একজন মিডিয়াবান্দব ব্যক্তিত্ব। নিজ এলাকা চাটখিল প্রেসক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণ করে দেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন,  ‘মূলত মিডিয়া জগতটি হলো সমাজের মানুষের আয়না বা  দর্পন এর গুরুত্ব সীমাহীন। তাই এই গুরুত্বের কথা অনুধাবন করেই সংবাদপত্র শিল্পের সাথে আমি সম্পৃক্ত হই। আমার ধ্যান ও চিন্তা ছিল কিভাবে দেশের মানুষের সেবা করা যায়, কিভাবে দেশের কল্যাণে অবদান রাখা সম্ভব, সেই চিন্তা চেতনা থেকেই সংবাদপত্র শিল্পের সাথেও আমার সম্পৃক্ততা, আমি আমার পত্রিকার মাধ্যমে জনগণের সেবা এবং দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে চাই।  

সংসদ সদস্য কিংবা সরকারের কোন দায়িত্বে না থেকেও তিনি অবদান রেখে যাচ্ছেন দেশের উন্নয়নে এবং মানুষের কল্যাণে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং  ইচ্ছাশক্তির কারণে বিভিন্ন এলাকায় নানা উন্নয়ন ও গতিশীলতায় তিনি ছিলেন স্বপ্নসারথি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ৩নং পরকোট ইউনিয়ন পরিষদের আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করে দেন। জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে নাহারখিল ও দেলিয়াই গ্রামে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ, চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় (১০টি) শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, সোনাইমুড়ী এলাকাবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত সোনাইমুড়ী কলেজ ও সোনাইমুড়ী মডেল হাই স্কুল সরকারীকরণ । বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খিলপাড়া ইউনিয়নের নয়নপুর বাজারে একটি নতুন বিদ্যুৎ সাবস্টেশন স্থাপন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হতে চাটখিল থানায় ১টি নতুন পিকআপ ভ্যান প্রদান এবং খিলপাড়া বাজারে নিজস্ব ক্রয়কৃত সম্পত্তি দান করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন, জনস্বার্থে দেলিয়াই বাজারে রূপালী ব্যাংক ও আবিরপাড়া বাজারে কৃষি ব্যাংকের শাখা কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থাকরণ, চাটখিল পৌরসভার জনসাধারণের কাছে বিশুদ্ধ পানি পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে ৬৪ কোটি টাকার প্রজেক্ট, জনসাধারণের কাছে বিশুদ্ধ পানি পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর থেকে ৫০টি ডিপ টিউবওয়েল প্রদান। এছাড়াও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার ব্যক্তিগত ও মরহুম রহমত উল্লাহ-আজিজা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় প্রতিটি ঈদ, পূজায় ও বিভিন্ন উৎসবে দলীয় কর্মী, নেতা-নেত্রী, স্কুল- কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার-নার্স, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণী পেশাজীবী ও সর্বসাধারণের মাঝে বিপুল পরিমাণ উপহার সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন।

বাবু/জেএম

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত