বিএনপির সমাবেশের একদিন আগে বরিশালের সঙ্গে এবার ঢাকারও লঞ্চ চলাচল বন্ধের খবর এসেছে।
শুক্রবার বরিশাল ও ঢাকা প্রান্ত থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়বে না বলে কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ কিংবা নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ বন্ধ থাকার কথা জানালেও এর কারণ জানাতে পারেনি।
লঞ্চ মালিক পক্ষের ভাষ্য, শুক্রবার বন্ধের দিন এবং শনিবার বিএনপির সমাবেশের কারণে যাত্রী কম হওয়ায় লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে বরিশালের সঙ্গে ভোলার লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরিশাল থেকে বিভিন্ন সড়কে পরিবহনও বন্ধ রেখেছেন মালিকপক্ষ।
শনিবার বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বরিশালের পরিবহন ধর্মঘটসহ বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয় বলে বিএনপির অভিযোগ।
তবে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বানকারীদের ভাষ্য, মহাসড়কে নছিমন, করিমনসহ বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার বন্ধের দাবিতে তারা ধর্মঘট ডেকেছেন।
মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস বলেন, “বিএনপির গণ-সমাবেশ এবং শুক্রবার হওয়ায় যাত্রী নেই। তাই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যে যাত্রী পাওয়া যাবে তাতে লঞ্চের ব্যয় উঠবে না। আর্থিক ক্ষতি করে তো চালাব না।”
ঢাকা থেকেও শুক্রবার কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসবে না বলে তিনি জানান।
প্রতিদিন রাতে বরিশাল থেকে চারটি এবং ঢাকা থেকে চারটি লঞ্চ ছাড়ে বলে ফেরদৌস জানান।
বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, “আজ বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাবে না; কারণ বিকাল পর্যন্ত কোনো লঞ্চের কাউন্টার খোলেনি। ঢাকা যাত্রার জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন তাও এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, লঞ্চ কেন যাবে না সে বিষয়ে কোনো মালিক তাদের কিছু অবহিত করেনি। তাই তারাও জানেন না কেন লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে না।
বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কোনো মালিক আমাদের জানায়নি লঞ্চ চলবে না। কিন্তু শুনতে পেয়েছি আজ বরিশাল ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাবে না। ঢাকায় খবর নিয়েছি; সেখান থেকেও বরিশালের উদ্দেশ্যে কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসবে না।”
সরেজমিনে বরিশাল নৌ-বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে পারাবাত-১৮, মানামী, সুরভী-৯, শুভরাজ ও প্রিন্স আওলাদ-১০ রয়েছে। প্রতিটি লঞ্চের প্রবেশ পথ বন্ধ রয়েছে।
বাবু/এসআর