হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর ইমরান খানকে দেখতে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন তার দুই পুত্র কাসিম এবং সুলেমান। সঙ্গে তাদের মা ও ইমরানের সাবেক স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) তারা সবাই লাহোরে পৌঁছেছেন। পিটিআই লাহোরের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
জানা গেছে, লাহোর বিমানবন্দরে জেমাইমা ও তার দুই পুত্রকে স্বাগত জানান প্রাদেশিক মন্ত্রী মিয়া আসলাম ইকবাল। সেখান থেকে তারা ইমরান খানকে দেখতে জামান পার্কের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
মায়ের সঙ্গে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন কাসিম ও সুলেমান। সবশেষ তারা পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। এবার বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আবারও তাদের টেনে এনেছে দেশটিতে।
গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে পিটিআই’র লংমার্চে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ইমরান খানের ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। এসময় ইমরানের পায়ে দুটি গুলি লাগে।
আহত পিটিআই চেয়ারম্যানকে লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় হাসপাতাল ছেড়ে তিনি এখন জামান পার্কের বাসভবনে বিশ্রামে রয়েছেন। সেখান থেকেই লংমার্চ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ টিভি উপস্থাপক পিয়ার্স মর্গানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছিলেন, তার ওপর আক্রমণের খবর শুনে দুই পুত্র খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকি সাবেক স্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয় ইমরানের। তিনি নিরাপদে রয়েছেন শুনে সেসময় স্বস্তিপ্রকাশ করেছিলেন সবাই।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) লং মার্চে হামলার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন পিটিআই প্রধান ইমরান খান।
জানা যায়, ৩ নভেম্বর হামলার পরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিল পিটিআই। কিন্তু এ আবেদন গ্রহণ না করায় মামলা নিয়ে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
পরে মামলার আবেদন থেকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সালের নাম বাদ দিয়েই অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। তখন থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন ইমরান খান ও তার দলের নেতা-কর্মীরা।
বাবু/এসএম