ইরানে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে অংশগ্রহণের দায়ে প্রথমবারের মতো একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানায় বিবিসি। সা
জাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আদালত বলেছেন, ওই ব্যক্তি সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং সৃষ্টার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন।
এ ছাড়া পৃথক আরেকটি আদালত জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা ভঙের দায়ে আরও পাঁচজনকে পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এদিকে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের আশঙ্কা, কর্তৃপক্ষ ‘তাড়াতাড়ি মৃত্যুদণ্ড’ কার্যকরের পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে সংগঠনটি জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এমন অভিযোগ রয়েছে আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে।
ইরানের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরান হিউম্যান রাইটসের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দা। একইসঙ্গে ‘বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিণতি সম্পর্কে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটিকে কঠোরভাবে সতর্ক’ করতেও আহ্বান জানান তিনি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঠিক মতো হিজাব না পরায় কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে তেহরানের পুলিশ। পরে তিন দিন কোমায় থাকার পর ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান ২২ বছর বয়সী আমিনি। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
গত শনিবার ইরান হিউম্যান রাইটস জানায়, চলমান এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩২৬ জন নিহত হয়েছেন। অসলোভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৩২৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৩ শিশু ও ২৫ নারী রয়েছেন।’
বাবু/এসআর
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |