চলমান এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষার সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটিতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নে বাংলা প্রথম পত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক একটি উদ্দীপক ব্যবহার করা হয়, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ও উপ-কলেজ পরিদর্শককে কমিটির সদস্য করা হয়েছিল।
তারা সশরীরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তদন্তে কী উঠে এসেছে-তা আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু জানাননি। তবে একটি সূত্র জানায়, প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী এবং মডারেটর তাদের দোষ স্বীকার করে বলেছেন, তাদের ভুল হয়েছে। তারা ক্ষমা চেয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার বলেন, এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে উস্কানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড গত ৮ নভেম্বর জানায়, বাংলা প্রথম পত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রণয়ন করা হয়। প্রশ্নপত্রটির প্রণেতা (সেটার) ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল।
আর প্রশ্নপত্রটির পরিশোধনকারীরা (মডারেটর) হলেন-নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ম. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়া ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
-বাবু/এ.এস