আগেই জানা গেছে অস্ট্রেলিয়া-আর্জেন্টিনা ম্যাচটি হবে হাড্ডাহাড্ডি, হলোও তাই। অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণকৌশল যখন মেসিসহ গোটা আর্জেন্টাইন রক্ষণকে বিবশ করে রেখেছিল, তখন ডেডলক ভাঙার কাজটা নিজের কাঁধেই নিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তাঁর গোলেই যে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে লিড নেয় আার্জেন্টিনা। যেটি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে মেসির করা প্রথম গোল। আর এই ম্যাচের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারে ১৭ বছরে এসে অনন্য এক রেকর্ডের গড়েছেন মেসি। যা ছিল ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মেসির ১০০০তম ম্যাচ। আর সেই সঙ্গে তিনি আর্জেন্টিনার ফুটবল গ্রেট ম্যারাডোনার রেকর্ড ৮ গোল স্পর্শ করলেন মেসি।
এদিন ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনাকে ভয় না পাওয়ার কথা বলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের শুরুতেও ছিল সেই ছাপ। পোল্যান্ডের মতো নিচে নেমে না এসে মাঠে নিজেদের পজিশন ধরে রেখেই খেলা শুরু করে তারা। আর্জেন্টিনা পাসের পর পাস দিয়ে চেষ্টা করছিল জায়গা বের করে আক্রমণে যেতে। তবে মনোযোগ ধরে রেখে অস্ট্রেলিয়া খুব বেশি সুযোগ দিচ্ছিল না আর্জেন্টাইনদের। শুধু লিওনেল মেসিদের ঠেকিয়ে রাখা নয়, আক্রমণেও চোখ ছিল সকারুদের। কয়েকবার ওপরে উঠে আর্জেন্টাইন রক্ষণের পরীক্ষাও নিয়েছিল তারা। আর অস্ট্রেলিয়ার কৌশলের কারণে আর্জেন্টিনা চাইলেও অলআউট আক্রমণে যেতে পারছিল না।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসিকে এগিয়ে এসেই ভাঙতে হলো অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণদুর্গ। তাঁর প্রথম প্রচেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার ডি–বক্স থেকে ফিরে এলেও সেই আক্রমণেই ডি–বক্সে ভেতর থেকে দারুণ এক মাটি কামড়ানো শটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। অবশেষ পাওয়া গেল কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নকআউটে গোল পেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি।
এর আগে বিশ্বকাপে মেসি ৮ গোল করলেও তার ১টিও নকআউট পর্বে ছিল না। সব কটিই করেছেন বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। তবে বিশ্বকাপের নকআউটে গোল না পেলেও সহায়তা করেছিলেন ৪টিতে।
সাতটি ব্যালন ডি'অর পুরস্কার পাওয়া লিওনেল মেসি এখন জাতীয় দল ও ক্লাব পর্যায়ে খেলে ৭৮৯টি গোলা করেছেন। মেসি লা লিগা (৪৭৪), সুপারকোপা দে এস্পানা (১৪), উয়েফা সুপার কাপ (৩) সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডের অধিকারী এবং ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অফিসিয়াল অ্যাসিস্টের রেকর্ড (৩৪৮)।
-বাবু/এ.এস