বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫ ৯ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫
বিআরডিবির ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:২৩ PM আপডেট: ০৫.১২.২০২২ ৬:২৪ PM
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির (ইউসিসিএল) সভাপতি রফিক আহমেদ ও রায়পুর উপজেলার পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংশু বণিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- রায়পুর উপজেলার পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জামাল হোসেন পাটওয়ারী ও সদরের হিসাব রক্ষক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনির হোসেন। জামাল সদরের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব চররুহিতা গ্রামের সমবায় সদস্য কৃষক মো. আলী চৌধুরী তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি বিআরডিবির মহাপরিচালক, পরিচালক (সরেজমিন), যুগ্ম-পরিচালক (সিসিএম), উপ-পরিচালক (সমবায়), উপপরিচালক (বিআরডিবি), লক্ষ্মীপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৭টি দোকান নির্মাণের জন্য রফিকসহ অভিযুক্তরা অগ্রিম ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। কিন্তু তারা ইউসিসিএলের ব্যাংক হিসাবে টাকাগুলো জমা করেননি। জোড়া বাড়ি ও গাছের লভ্যাংশের প্রায় ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেও তা ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়নি। বিসিক শিল্প নগরীর ভবন বাড়ার ২২ হাজার টাকা, সাবেক পরিদর্শক শহিদের বকেয়া বেতনের ১ লাখ ১৭ হাজার, সাবেক পরিদর্শক মাধুরী রানী নাহার প্রায় ৫ লাখ টাকা, ইউসিসিএলের গুদামে থাকা ১২ মোটরসাইকেলসহ মালামাল বিক্রির প্রায় ৬ লাখ টাকা ও ভবানীগঞ্জে গুদাম ভাড়ার ৬৯ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন খাতের প্রায় ৩০ লাখ টাকা অভিযুক্তরা আত্মাসাৎ করেছেন। ভুক্তভোগী সদর উপজেলার বিআরডিবির সাবেক পরিদর্শক মাধুরী রানী নাহা। তিনি বলেন, আমি বকেয়া বেতনের এক টাকাও পাইনি। কেউ আমাকে কোনো টাকা দেয়নি।

অভিযুক্ত রফিক আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার ঋণ খেলাপিও নেই। সরকারের মূল টাকা পরিশোধ করেছি। সুদের টাকা সরকার মওকুফ করে দিয়েছে। সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বিভাগের হিসাব রক্ষক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনির হোসেন বলেন, দোকানঘর নির্মাণের জন্য আমি কোনো টাকা নেইনি। অভিযোগের ঘটনাগুলোও আমার অজানা। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।

অভিযুক্ত রায়পুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জামাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। ভাইস চেয়ারম্যান ও হিসাবরক্ষক রশিদ দিয়ে দোকানঘর নির্মাণের অগ্রিম টাকাগুলো নিয়েছেন। সেই টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই। সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংশু বণিক বলেন, আমি অভিযোগের একটি অনুলিপি পেয়েছি। এতে আমার কোনো কিছু করার এখতিয়ার নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন। বক্তব্য জানতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাবু/এসআর
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত