রাজশাহী মহানগরীতে ২টি চোরাই মোটরসাইকেল-সহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে আরএমপির শাহমখদুম থানা পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
আটককৃতরা হলেন রাজশাহী মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার বায়া ভোলাবাড়ীর রাকিব আলীর ছেলে রিফাত (১৯), বারইপাড়ার মৃত মাজেদের ছেলে রাসেল আহম্মেদ (১৯) ও মৃত আসাদুলের ছেলে উজ্জ্বল (২০)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল ৭ জানুয়ারি বিকেল ৫.০০ টায় উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নূরে আলমের নেতৃত্বে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান, এসআই রনি মিয়া ও তার টিম থানা এলাকায় বিশেষ টহল ডিউটি করছিল। এসময় থানা পুলিশের ঐ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, শাহমখদুম থানার দক্ষিণ নওদাপাড়া বটতলা মোড়ে কতিপয় ব্যক্তি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয় করার জন্য অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে শাহমখদুম থানার পুলিশের ঐ টিম বিকেল সাড়ে ৫ টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসামি রিফাতকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল-সহ আটক করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি রিফাতকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, চোরাই মোটরসাইকেলটি তাকে রাসেল ও উজ্জ্বল বিক্রি করার জন্য দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, তাদের কাছে আরেকটি চোরাই মোটরসাইকেল বায়া বাজারের একটি বাসায় আছে। রিফাতের দেওয়া তথ্যমতে শাহমখদুম থানার ঐ টিম আজ ৮ জানুয়ারি (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটে অভিযান পরিচালনা করে এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজারের একটি বাড়ি হতে আসামি রাসেল ও উজ্জ্বলকে ১টি চোরাই মোটরসাইকেল-সহ আটক করেন। উল্লেখ্য, আসামিদের নিকট হতে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায়, সন্তু ও মোমিন চোরাই মোটরসাইকেল ২টি বিক্রি করার জন্য তাদের দিয়েছিল। আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত মোটর সাইকেল-সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রি করে থাকে বলে স্বীকার করে।
পুলিশ কর্তৃক ২টি মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার সংক্রান্তে শাহমখদুম থানায় ১টি উদ্ধারজনিত মামলা হয়েছে।
বাবু/এসআর