অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপাড়া এলাকায় জমিতে সেচের পানি নেওয়ার ভরাট খাল খনন শুরু হয়েছে। বিএডিসি (সেচ) বিভাগের কর্মীরা রোববার(১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভেকু দিয়ে খাল খনন কাজ শুরু করে। খালটি খনন হলে অত্র এলাকার ১০০ বিঘা জমিতে পানি নিতে পারবেন কৃষকেরা। পানির অভাবে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাওয়া ওইসব জমিতে নতুন করে চাষাবাদ করতে পারবেন তারা। খাল খনন শুরু হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় অর্ধশত কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
তবে এ খাল খনন হওয়ার পেছনে সংবাদকর্মীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তা।
জমিতে পানি নেওয়ার খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা পানি নিতে পারছিল না। সুইচ গেটের জল কপাট নষ্ট হয়ে অকেজো হওয়ায় পানি আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে জমিতে পানি সরবরাহ করা বাধাগ্রস্থ হয়ে যায়। কৃষকদের এ দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার প্রতিনিধি একটি সরজমিনে প্রতিবেদন করেন। সংবাদটি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা এবং কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম এবং পরে বিএডিসি ও পাউবো খালটি পরিদর্শন করে বিষয়টি উর্ধন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে অবশেষে খালটি খনন শুরু হয়।
জানা যায়, দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপাড়া এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া জাজি নদীর পুরাতন সুইচ গেইট থেকে ৩০/৩৫ বছর আগে আধা কিলোমিটার দূরত্বের একটি খাল খনন করে কৃষকেরা। ওই খাল থেকে ডিজেল পাওয়ার পাম্প মেশিন দিয়ে দিয়ে জমিতে পানি নিয়ে চাষাবাদ করা হতো কৃষকেরা। কিন্তু খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিতে পারছিল না কৃষকেরা। এতে ওই জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
বিএডিসি (সেচ) উপ সহকারী প্রকৌশলী (আখাউড়া-কসবা) মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে আখাউড়ায় সেচের পানি সরবরাহের জন্য একটি খাল খনন করা খুবই জরুরী জানতে পেরে সহকারী প্রকৌশলী মহোদয় আমাকে নির্দেশ দেয় খালটি পরিদর্শন করার জন্য। আমি গত সপ্তাহে খালটি পরিদর্শন করে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সহকারী প্রকৌশলীকে রিপোর্ট করি। যার ধারাবাহিকায় এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা খালটি খনন কাজ শুরু করেছি।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতপাড়া মৌজায় একটি সুইচ গেট নির্মাণ করে। এই সুইচ গেটটি নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যপারে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা স্যারের সাথে আমরা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা সুইচ গেট এবং খালটি পরিদর্শন করি। এসে এটাকে অকেজো অবস্থায় পাই। খালটি অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। পরে আমরা দ্রুত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবহিত করি। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিএডিসি (সেচ) সাথে। এরই প্রেক্ষিতে আজকে খাল খনন উদ্বোধন হয়েছে। বিএডিসি খনন শুরু করেছে। এজন্য আমরা সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
-বাবু/এ.এস