বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫ ১২ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫
ঈশ্বরগঞ্জে চাল আত্মসাৎ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভ
আর.কে রাজু- ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৪৯ PM
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুস্থ ও অসহায়দের জন্য বরাদ্ধকৃত ভিজিডি চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগে ভুক্তভোগী মহিলারা মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে ওই উপজেলার ৮নং  রাজিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী ফকিরের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিগত ২১ মাসের চাল আদায়ের লক্ষ্যে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন চাউল বঞ্চিত অসহায় কার্ডধারী মহিলাবৃন্দ ও এলাকার জনগণ। মিছিলটি রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বের হয়ে শাহগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

উল্লেখ্য যে, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেল পমেন্ট বা দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে ৩১৫ জন নারীর নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। অথচ উল্লিখিত তালিকার ১২৬ জন উপকারভোগী ২১মাসের চাল পায়নি। যা তদন্তে প্রমাণ মেলেছে। 

পরে ওই ইউনিয়নের উপকারভোগী কার্ডধারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগে প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানোয়ার রাসেলকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কায়সার তালুকদার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ্জহুরা। পরে উক্ত কমিটি ২০ নভেম্বর সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের প্রথম দিনেই ১২৪ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২৮জন চাল পায় নি। দ্বিতীয় দিন ২৩ নভেম্বর আরও ১১০ জনের কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২০জন চাল পায়নি। পরবর্তীতে ইউপি সচিব ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ২৬ নভেম্বর ৯ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ৭ জন চাল পায়নি। ২৯ নভেম্বর ২৫ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২৪জন চাল পায়নি। এনিয়ে সরেজমিন সাক্ষাৎকারে মোট ৭৯জন কার্ডধারী ২১ মাসের চাল পায়নি বলে তদন্ত কমিটি জানতে পারেন। এছাড়া আরও ৪৭ জন কার্ডধারীর কোনো সন্ধান খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। এছাড়াও ভিজিডি পরিপত্রে উপকার ভোগীদের মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও একসঙ্গে তিন মাসের চাল বিতরণের অভিযোগও রয়েছে ভুক্তভোগীদের। 

তদন্ত কমিটির সদস্যরা কমিটির আহ্বায়ক সানোয়ার রাসেলের কাছে ৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে ভিজিডি চাল বিতরন অনিয়মের বিষয়টির প্রামন মেলেছে। যা ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির দায় এড়াতে পারেন না।

অপরদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমি গত এপ্রিল মাসে যোগদান করেছি এবং ঐ মাসে চাল বিতরণের সময় কার্ডধারীদের দেখে দেখে চাল বিতরণ করেছেন ট্যাগ অফিসার। ২০২১-২২ অর্থবছরের কার্ডগুলো বিগত চেয়ারম্যানের আমলে করা হয়েছে। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত