কোভিড-১৯ এর মতো মহামারী কাটিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। কোভিডের সময় যে কয়টি দেশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আর এ কারণে যেকোনো একটা ধাক্কায় বাংলাদেশের অর্থনীতি পড়ে যাবে না।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০২২–২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছেরের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ গবেষণা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকটিতে ২ জন প্রশাসক বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এসেছে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকটি সম্পর্কে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নোত্তরে গভর্নর বলেন, ডলার সংকটের সময় অর্থনৈতিকভাবে ১২টি ব্যাংক ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অডিটে উঠে এসেছে। ওই সময়ে বিধি বিধান অনুযায়ী ব্যাংকগুলো এ মুনাফা করলেও সেগুলো ছিল অনৈতিক। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তাদের অনৈতিক মুনাফার অর্ধেক অর্থাৎ ৫১৭ কোটি টাকা সামাজিক দায়বদ্ধ (সিএসআর) খাতে ব্যয় করতে বলেছে। বিশেষ করে এ সিএসআর কৃষি খাতের ব্যয়ের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে এ অর্থ সিএসআর খাতে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নোত্তরে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ব্যাংকগুলোতে আমানত আগের চেয়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে সরকারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত একেবারেই কমে গেছে। ব্যাংকগুলোতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেশি টাকা আমানত নেই।
অর্থপাচার সম্পর্কে গভর্নর বলেন, আমি যোগদান করার পর দেখলাম ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং হচ্ছে। অন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। সেটি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে অন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংও কমে আসছে। এতে অর্থপাচারের শঙ্কা অনেকটা কেটেছে।
বাবু/এসআর
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |