ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধের উপর নির্মিত আখাউড়া-কর্ণেলবাজার সড়কের পাশের বাঁধ ভেঙ্গে সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে যানবহন চলাচল বন্ধসহ অন্তত ৯ টি গ্রামের মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তলিয়ে যেতে পারে ফসলের মাঠ। স্থানীয়দের দাবি কিছু বালু ব্যবসায়ী হাওড়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কর্ণেল বাজার থেকে হাওড়া নদীর পাড় ঘেষে খলাপাড়া হয়ে উপজেলা সদরের সাথে একটি সড়ক রয়েছে। সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার অন্তত ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির খলাপাড়া কবরস্থানের সামনে পানির তোড়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সড়কের পাশের অনেকটুকু জায়গার সড়কের মাটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেছে। ধীরে ধীরে সেই ভাঙ্গন আরও বাড়ছে। এ সড়কটি ভেঙ্গে গেলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে সেই সাথে ওই এলাকার প্রায় ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়বে হাজার হাজার মানুষ। সড়কটির ভাঙ্গন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে গেলে আমাদের চলাফেরায় অসুবিধা হবে। সেই সাথে জমিতে আবাদ করতে পারব না। খাদ্য উৎপাদন করতে সমস্যা হবে। দ্রুত সড়ক ভাঙ্গন বন্ধ করলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
অটোচালক কাইয়ুম মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখনই গাড়ি চালাতে ভয় করে। আরও যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে গাড়ি চলাচল করতে পারব না। তাতে আমাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। ছেলে মেয়ে নিয়া খুব সমস্যায় পড়বো।
এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বিভাগে উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সড়ক ভাঙ্গার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এ ব্যপারে ঢাকায় নোটিশ পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ করতে পারব।
আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে নিয়ে আমি সড়কটি পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এ বাঁধটি আবার মেরামত করা হবে। কযেক মাসের ভিতরে হওয়ার কথা রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে সড়ক ভাঙ্গার বিষয়ে অবগত হয়ে আমি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলামকে নিয়ে আমি বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রকৌশলী আমাকে বলেছেন প্রাক্কলন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট পাঠিয়েছে। এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজন পদক্ষেপ নেবে বলে আমাকে জানিয়েছে। আমি যোগাযোগ রাখছি।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে উজানের পানির স্রোতে কর্ণেল বাজার এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তলিয়ে যায় বহু বাড়িঘরসহ ফসলি জমি। এতে দুর্ভোগে পরে এলাকার ১১টি গ্রামের মানুষ।
-বাবু/এ.এস