বিপিন চন্দ্র কর্মকারের পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। তার মধ্যে চারজনই প্রতিবন্ধী। এই চারজনের মধ্যে এক ছেলে রতন কর্মকার ১০ বছর আগেই হারিয়ে গেছেন। এখনো তার সন্ধান পায়নি পরিবার। বাকি তিন ভাই শারীরিক, মানসিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। তারা হলেন- রতন কর্মকার, ভবানী কর্মকার ও বিপ্লব কর্মকার। তবে ছেলে বিনয় কর্মকার, মেয়ে সন্ধ্যা রানী কর্মকার ও সারথী কর্মকার সুস্থ আছেন।
বিশকা রানী জানান, বিপিনের আয়ে কোনো মতো চলছে সংসার। অভাবের সংসার ও প্রতিবন্ধী তিন ছেলেকে নিয়ে আর পেরে উঠছেন না তিনি। তারা প্রতিবন্ধী হওয়ায় নানা সময় নানা আচরণ ও ঝামেলা করে। এতে এই বয়সে তিন প্রতিবন্ধী ছেলেকে সামলানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপিন-বিশকা দম্পতির জন্য।
তিনি বলেন, বয়স হয়েছে, তাও ঘরের বাইরে কাজ করছেন স্বামী। আমরা দুজনই নানা রোগে আক্রান্ত। আমাদের অনুপস্থিতে আগামী দিনে ওই তিন প্রতিবন্ধী সন্তানের কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমাদের। প্রতিবন্ধী তিন সন্তানকে নিয়ে আর কষ্ট সইতে পারছি না।
বিপিন কর্মকার জানান, তাড়াশ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ২০২২ সালের জুন মাসে রতন কর্মকার ও ভবানী কর্মকারের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী বিশকা রানীর বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ছেলে বিপ্লবের কোনো সরকারি ভাতা জোটেনি। তবে দুই সন্তানের মতো তিনি নিজেও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পেয়েছেন। এতে বর্তমানে তারা তিনজন মিলে মাসে ২ হাজার ২৫০ টাকা ভাতা তুলতে পারছেন। যা কিছুটা সহযোগিতা করছে সংসার চালাতে।
বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |