অপরদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানসুকা গ্রামের চা-বাগান থেকে কামরুল ইসলাম কামুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত কামরুল তিরনইহাট যুগিগছ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহমেদ বলেন, সকালে খোকন সরকার নদীর ধারের একটি ভুট্টাখেতে ঘাস কাটতে যান। পরে সেখানে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেন এক নারী। এলাকাবাসী পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে নিহত কামরুল ইসলাম কামুর পরিবার জানায়, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে কামরুল ইসলাম কামু উপজেলার শালবাহান হাটে যান। সন্ধ্যায় বাড়িতে সাইকেলসহ বাজার পাঠিয়ে দিলেও তিনি বাড়িতে ফিরেননি। পরে খোঁজাখুঁজি করেও কামুর সন্ধান না পেয়ে আজ বুধবার সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান আলী জানান, নারী চা-শ্রমিকরা বাগানে কাজ করতে গিয়ে ঝোপঝাড়ে ঢাকা অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে খবর দেয়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
বাবু/এসআর
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |