২০১৮ সাল থেকে পৌরসভার ধামদী এলাকায় ৫ শতক জায়গায় ইসহাক মিয়ার তৈরি করা বাসায় ভাড়া থাকতেন মমতাজ জাহান মিতু নামে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের এক সদস্য। কিন্তু বর্তমানে তিনি বাসার মালিক দাবী করে প্রকৃত মালিককে বাসায় ওঠতে দিচ্ছেনা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ঈশরগঞ্জ পৌর এলাকার কাকনহাটী গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলনে ঐ নারীর বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান ইসহাক মিয়ার পুত্রবধু মোছাঃ সাজমুন্নাহার সাজু । এছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও তোলেন ওই অভিযুক্ত নারীনেত্রীর বিরুদ্ধে । এসময় এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান রুবেল, আব্দুল জব্বার মাস্টার, হেলাল উদ্দিন মেম্বার, ফারুক আহমেদ,আব্দুর রহিমসহ এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- ১৯৯৭ সালের ৪ মে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল রোডস্থ ধামদী মৌজায় ০৫ শতাংশ জমি মোঃ ইব্রাহিম এর কাছ থেকে ক্রয় করেন ইসহাক মিয়া। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে ওই জমিতে একতলা একটি পাকাঘর নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই বাসাটি বিভিন্ন পরিবারকে ভাড়া দিয়ে গ্রামের বাড়ি কাকনহাটীতে বসবাস শুরু করেন ওই বাসা-মালিক। ২০১৮ সালের দিকে বাসাটি ভাড়া নেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মমতাজ জাহান মিতু। কিছুদিন ঠিকমতো বাসা ভাড়া পরিশোধ করলেও ২০২১ সালে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন ওই নেত্রী। বাসার মালিক ভাড়াটিয়া মিতুকে বকেয়া ভাড়া পরিশোধের তাগিদ দিলে দেই-দিচ্ছি নানা টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়া মিতু বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না করে উল্টো ওই বাসা তিনি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। বাসাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ করাসহ তিনটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও তাতে কোনো পাত্তা দেননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মহিলা আ'লীগ নেত্রী ভাড়া বাসাটি দখল করতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি এবং তাঁর শিশুকন্যাকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় জড়িয়ে বাসা-মালিকের ছেলে রুবেলকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন। তারা আরও বলেন, জোর করে বাসাটি দখল করে নেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাদের পরিবার।
অপরদিকে অভিযুক্ত জেলা মহিলা আ'লীগ নেত্রী মমতাজ জাহান মিতু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বায়নাসূত্রে ওই বাসার মালিক। ইতোমধ্যে ওই বাসা বিক্রী বাবদ ইসহাক মিয়া আমার কাছ থেকে বায়নাপত্র দলিল মূলে ২৮ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা নিয়েছেন।
-বাবু/এ.এস