বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫ ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫
যমুনার দুই পাড়ে বোরো রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা
কোরবান আলী তালুকদার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশ: রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৪৪ PM
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চলে শুকনো মৌসুমে ছোট-বড় ও মাঝারিসহ অসংখ্য ডোবা হয়ে থাকে। আর সেই ডোবার চারপাশে এবং নদীর দুই পাড়ে বোরো ধান চাষ করেন কৃষকরা। যমুনার পানি কম থাকায় নদীর দুই পাড়ে এবং ডোবা গুলোতে বোরোধান রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে এখানকার কৃষকেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অর্জুনা, গাবসার, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের যমুনা চরাঞ্চলে ছোট বড় অসংখ্য ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই ডোবা গুলোর চারপাশে বোরো ধান রোপণ করেছে কৃষকরা। যমুনা চরাঞ্চলের এখন সবুজের সমাহার। বাতাসে দোল খাচ্ছে বেরো ধানের সবুজ পাতা। এছাড়াও যমুনা পানি কমে যাওয়ায় এখনো নদীর দুই পাড়ে বোরোধান রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা।

উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের বোরো চাষি মফিজ উদ্দিন বলেন, আমি এ বছর প্রায় ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। নদীর পানি কমে যাওয়ায় এখন আবার নতুন করে নদীর কিনারা দিয়ে ধান রোপণ শুরু করেছি। পানি আসার আগে ধানগুলো কাটতে পারলে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মন ধান পাবো।

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বোরো চাষি আব্দুল হাই বলেন, যমুনার পানি শুকিয়ে গেলে প্রতি বছর নদীর দুই পাড়ে আমি বোরো ধান চাষ করি। এ বছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। বোরো ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা থেকে ১৫-২০ মণ ধান পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলে ৬২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং যমুনায় পানি আসার আগেই এসব ধান কাটতে পারলে বোরো চাষিরা লাভবান হতে পারবে। এখনো চরাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় বেরো ধান রোপণ করছে কৃষকরা।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত