পেরুতে চলমান বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে আরও একজনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার (২৯ জানুয়ারি) একজন বিক্ষোভকারী নিহতের পর এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে। এদিকে সংকট সমাধানে দেশটির প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের নির্বাচন এগিয়ে আনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস।
দিন যত গড়াচ্ছে পেরুতে সরকারবিরোধী আন্দোলন ততই ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। শনিবারও প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা। কংগ্রেস ভবনের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জবাবে পাথর ছুড়ে ও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধলে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় লিমা। পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে হতাহতের খবরও পাওয়া যায়। রয়টার্স জানায়, ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
আন্দোলনে সাধারণ নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দিয়ে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে দমনপীড়ন ও ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে। এক নাগরিক বলেন, ‘আমি কোনো সন্ত্রাসী নই। পুলিশের ভাষ্যমতে আমি একজন অপরাধী। কিন্তু আমি একজন কর্মজীবী মানুষ। অথচ তারা আমাদের সঙ্গে খুবই বিরূপ আচরণ করছে। কংগ্রেসকে অবশ্যই জনগণের কথা শুনতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই ‘
এদিকে পেরুর রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নির্বাচন এগিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন দেয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। তবে তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির কংগ্রেস
নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। আইনপ্রণেতারা গত মাসে এই নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নিয়ে আসতে সম্মত হন। তবে শনিবার একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এর পক্ষে ৪৫টি, বিপক্ষে ৬৫টি এবং দুজনের অনুপস্থিতিতে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেস। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। এতে দেশটিতে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট।
বাবু/এ আর