কৃষকের ক্ষতির অভিযোগে ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এদিকে, এ মামলার কারণে ঝাড়খন্ডের এই প্রকল্প থেকে যথাসময়ে বাংলাদেশে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২০১৭ সালে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে হাইটেনশন লাইন দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নেয়ার চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৯৫ কিলোমিটারের জন্য হাইটেনশন লাইন স্থাপন করতে হচ্ছে আদানি গ্রুপকে। সে কাজ জোরকদমে শুরুও করেছে তারা। ঝাড়খন্ড থেকে বিদ্যুতের এই লাইন মূলত পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার ওপর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আদানি গ্রুপ।
তবে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, বিদ্যুতের তার যাওয়ার কারণে তাদের লিচু ও আম বাগানের ফলন নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে পরপর তিন দফায় বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তবে তিন দফা চেষ্টার পরও ব্যর্থ হয় সমঝোতা বৈঠক। কৃষকদের হয়ে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কলকাতা হাইকোর্টে মানবাধিকার সংগঠন এপিডি জনস্বার্থে মামলার আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৭ তারিখ সব পক্ষকে ডেকে পাঠান।
আদালত সূত্রের খবর, আদানি গ্রুপের এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ আরেকজন কৃষকও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সম্প্রতি। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির কথা থাকলেও সেটা হয়নি।
এদিকে ফারাক্কায় আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার দাবিতে কৃষকরা এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম দাবি করছে।
বাবু/এ আর