বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা চলমান যুগপৎ আন্দোলনকে আরও কীভাবে বেগবান করা যায়, সেই লক্ষ্যে আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে কর্মসূচি অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের যে সমাবেশের কর্মসূচি আছে, সেই কর্মসূচির আর কী কর্মসূচি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ হয়েছে। ভবিষ্যতে আন্দোলন জোরদার করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’
সরকার হটানোর চলমান যুগপৎ আন্দোলন জোরদারে ‘করণীয় কর্মকৌশল’ ঠিক করতে গণফোরাম-পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠকের পর এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রমাণ করে দিয়েছে যে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের আন্দোলন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছি। চলমান আন্দোলন আমরা একসঙ্গে করবো, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। কোনও অবস্থাতে আমরা পিছপা হবো না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন চাই। এটা অর্জনের জন্য একসঙ্গে কাজ করছি।’
বৈঠকে গণফোরামের প্রতিনিধিদলে সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক সরকার, পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, মহাসচিব আবদুল কাদের, কো-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রনো ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বিলকিস খন্দকার, আবু তালেব সরকার ছিলেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।
এরপর এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের নেতৃত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম, নেয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, এম এম মোর্শেদ, খায়রুল কবির পাঠান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক কারিমা খাতুন ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন প্রমুখ বৈঠক করেন।