ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ঠিকাদার পরিচয়ে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পিডিবি’র লাইন হেলপার সাইফুল ইসলাম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে ওই লাইন হেল্পারকে অনিয়মের অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইলে বদলি করা হয়। বদলি হলেও থেমে নেই তার অনিয়ম ও দুর্নীতি। টাঙ্গাইলের কর্মস্থল থেকে ঈশ্বরগঞ্জে এসে নিজেকে ঠিকাদার পরিচয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আবাসিক প্রকৌশলীর যোগসাজশেই অবলীলায় এমন অনিয়ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ পিডিবি অফিসের আওতাভুক্ত গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর হতে নওয়াগাঁও পর্যন্ত প্রায় ২০ খুঁটির ১১ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন এসটি লাইন স্থাপনের কাজ করছে বিউবো’র অনুমোদিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএন বিল্ডার্স। কিন্তু স্থানীয়দের কাছে সাইফুল নিজেকে ঠিকাদার পরিচয়ে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুক্তি করে বায়না বাবদ এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কাজটি এসএন বিল্ডার্স করলেও নকশা ছাড়াই নিজের ইচ্ছেমত খুঁটি স্থাপন করে স্থানীয়দের হেনস্থা করছেন সাইফুল ইসলাম। এ বিষয়ে হেনস্থার শিকার দুই ভুক্তভোগী আবাসিক প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, শ্রমিকরা খুঁটি স্থাপনের কাজ করছে। তাদের কাছে ঠিকাদারের ফোন নম্বর না থাকলেও সাইফুলের ফোন নম্বর ঠিকই রয়েছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর সাইফুলের কাছে পৌঁছে গেলে সাইফুল তার আস্থাভাজন হাবিবুর রহমানের কাছে কল দিয়ে সাংবাদিক আসার কারণ জানতে চায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লাইন হেল্পার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি অসুস্থ ছুটিতে আছি। আমি ওই এলাকায় যাওয়াতো দূরের কথা এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এদিকে সাইফুল ইসলাম অস্বীকার করলেও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মামুন সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন যে তিনিই সাইফুলকে ওই এলাকায় পাঠিয়েছিলেন। এসটি লাইন স্থাপন সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই, নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, লাইনটি এপিপির আওতাধীন, সরকারি বিধি মোতাবেক কাজ হচ্ছে। আবেদন ব্যাতিত এর বেশি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।
বাবু/জেএম