জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুভূতিতে আঘাত না করার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘মহান জাতীয় সংসদের প্রতিজন সদস্য আমাদের ভীষণ প্রিয়, অভিভাবকতুল্য এবং সম্মানীয়। সুতরাং বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, পাহাড়ি, হাওর, বাওড় প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে সংগ্রামমুখর শিক্ষার্থী, যারা অভিভাবককে একসঙ্গে আর্থিক সহায়তা করে এবং নিজে পড়াশোনা করে। তাদের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত না করার জন্য আমি উদত্ত আহ্বান জানাই।
গাজীপুরের বাহাদুরপুরস্থ রোভার পল্লীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ‘পিকনিক ও মিলন মেলা-২০২৩’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ শুক্রবার বিকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন উপাচার্য। গতকাল বৃহস্পতিবার মহান জাতীয় সংসদে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
ড. মশিউর রহমান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মানচিত্রসম একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চবিত্ত পরিবারের আবেগ জড়িত। আমাদের ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থীদের ঘিরে যে পরিবার তা আমাদের নিজস্ব পরিবার। প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমরা। তাদের জীবন-সংগ্রাম সম্পর্কে আমরা খুব ভালো ধারণা রাখি।
সংসদের মতো পবিত্র জায়গায় তথ্য-উপাত্ত জেনে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য ড. মশিউর বলেন, মহান জাতীয় সংসদে যখন কথা বলবেন সকল বিষয় মাথায় রেখে তথ্য-উপাত্তকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কথা বলবেন। কেননা, এর সঙ্গে আমাদের গভীর আবেগ এবং সেন্টিমেন্ট জড়িত। আমাদের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যে আঘাত করা সমীচীন নয় জানিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, এমন কোনো কথা বলা উচিত নয় যেটি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যে আঘাত করে। আমার শিক্ষার্থীরা সততার সঙ্গে আয় করে। ওরা নিষ্ঠার সঙ্গে আয় করে, দুর্নীতি করে না।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ মিলনমেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাবু/জেএম