শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ২৮ জুন ২০২৫
আদানির বিদ্যুতের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নেই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:১০ AM
ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। বাংলাদেশ ওই গোষ্ঠীর বিদ্যুতের দাম কমাতে তৎপর-এমন কোনো খবরও জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে আদানি গোষ্ঠী প্রসঙ্গে এ কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। খবর হিন্দুস্থান টাইমসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ইউনিটপ্রতি নির্ধারিত দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ জানিয়েছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অরিন্দম বাগচি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কিছু জানা নেই। চুক্তিটি এক সার্বভৌম সরকারের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। ওই চুক্তির সঙ্গে ভারত সরকার জড়িত নয়।

তিনি আরও বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ফলে যাতে প্রতিবেশীরা উপকৃত হয়, সেটাই আমরা চাই। ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অঙ্গই হলো, প্রাকৃতিক বা শক্তি ক্ষেত্র-যেকোনো ধরনের সংযোগের জন্যই ভারত সচেষ্ট। তবে যদি কোনো একটি বিশেষ প্রকল্প অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে না চলে, তা হলে আমার মনে হয় না দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার কোনো প্রভাব পড়বে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিপি)। সেই অনুযায়ী ঝাড়খন্ডের গোড্ডার কয়লানির্ভর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

তবে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে লিখেছে-বিপিডিপির পক্ষ থেকে সম্প্রতি আদানির সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, চুক্তিটি তারা ফের খতিয়ে দেখতে চায়। এর পেছনে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার-বিতর্কের ছায়া থাকতে পারে বলে ধারণা অনেকের।

এদিকে আদানিকে নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না-এমন প্রশ্নও ওঠে ব্রিফিংয়ে।

এছাড়া আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ওপর এ বিতর্ক কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে অরিন্দম বাগচি বলেন, অর্থনৈতিক কারণে কোনো বিশেষ প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে হতে না পারা দুই দেশের সম্পর্কের প্রতিফলন হিসাবে গ্রাহ্য হতে পারে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দুই দেশকে আরও ঘনিষ্ঠ করার কাজ ভারত জারি রাখবে। তিনি বলেন, জি-২০ দেশগুলোর কাছে ভারতকে তুলে ধরার মতো বহু বিষয় রয়েছে। আদানি বিতর্ক ওই সম্মেলনে কোনো ছায়া ফেলবে না।

বাবু/এ আর
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  আদানি    বিদ্যুত   







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত