চীনের খরগোশ বছরকে জমকালো আয়োজনে মধ্যমে স্বাগত জানানো হয়েছিলো। চীনের এই বছরকে খরগোশ বছর হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বসন্ত উৎসব, যা চীনা নববর্ষ নামেও পরিচিত, চীনারা তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্সব হিসাবে পালন করে এবং এর ইতিহাস চার হাজার বছরেরও বেশি।
এটি এমন একটি উপলক্ষ যেখানে লোকেরা একটি ভাল ফসলের জন্য প্রার্থনা করে, উদযাপন করে এবং নিজেদের উপভোগ করে। উৎসবটি ১২ তম চান্দ্র মাসের শেষ দিন সন্ধ্যা থেকে নতুন চান্দ্র বছরের ১৫ তম দিনে লণ্ঠন উৎসবটি পালিত হয়। বসন্ত উৎসবের সময়, হান চাইনিজ এবং চীনের অন্যান্য অনেক জাতিগোষ্ঠী দেবতা এবং পূর্বপুরুষদের সম্মান করার জন্য, পুরানোকে নতুনের সাথে প্রতিস্থাপনের প্রতীক হিসাবে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এবং ভাল ফসলের জন্য প্রার্থনা করার জন্য বিভিন্ন ধরণের স্বাতন্ত্র্যসূচক উদযাপন করে।
লোকেরা তাদের পরিবারের সাথে চীনা নববর্ষ কাটানোর জন্য তাদের ক্ষমতার সবকিছু করে যাতে তারা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পারে এবং তারা যে সুখ কামনা করে তা তাদের কাছের লোকদের সাথে নিয়ে আসে। আজকে চীনা বসন্তের অনুষ্ঠানের শেষ দিন ছিলো যেটা জমকালো আয়োজনে মধ্যমে শেষ হয়েছে। হুয়াংশান শহরের অনুষ্ঠানে হুয়াংশান টুরিস্ট ব্রুরো হুয়াংশান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো তারই ধারাবাহিকতায় হুয়াংশান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী ডিন জনাব ইন'র নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হুয়াংশান শহরের মিসেস লিং ইউন হুয়াংশান মিউনিসিপ্যাল পার্টি কমিটির সেক্রেটারি, আনহুই প্রদেশ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটক ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে টুনসি ওল্ড স্ট্রিট। আমেরিকার একজন প্রফেসরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কোভিডের পরবর্তীতে আমি এতো মানুষ এই প্রথম দেখতেছি নিঃসন্দেহ আমি খুব উপভোগ করছি । অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা এই দিনটিকে খুব স্মরণ করে এবং এই বসন্ত উৎসবে সকলে একত্রিত হয়ে দলবেঁধে ঘুরে বেড়িয়ে উৎযাপন করেন । তবে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিলো বলে সবাই নিজের মতো করে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন।
-বাবু/এ.এস