ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নেমেছে। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে কোনো রকমে টিকে আছে দেশের শতভাগ রপ্তানিমুখী এ বন্দর।
তবে সবজি রপ্তানিতে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে এই বন্দরের ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন সম্ভাবনার নতুন ধার উম্মেচিত হতে যাচ্ছে এই সবজি রপ্তানী। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারেও কৃষিপণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছে। এরই মধ্যে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ত্রিপুরায় রপ্তানি শুরু হয়েছে কচুর লতি, পিঁয়াজ পাতা, করলা, গাজরসহ বেশ কিছু সবজি। প্রতি টন সবজি রপ্তানি হয় চারশত মার্কিন ডলারে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে দশটায় একটি পিকআপে করে ৫ টন সবজি রপ্তানি হয় আগরতলায়। সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডেফোডিল ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী মো. নাছির উদ্দিন জানান, আমার এই বন্দর দিয়ে আগে কখনো সবজি রপ্তানি করি নাই। আমরা অনেক দিন যাবৎ চেষ্টা করতে ছিলাম যাতে করে এই বন্দর দিয়ে সবজি রপ্তনি করতে পারি। তারি প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার আমদানীকারকদের সাথে কথা বলি এবং আগরতলার বিভিন্ন সবজি বাজার পরিদর্শন করি। পরিশেষে ত্রিপুরার আমদানীকারকরা আমাকে একটি চাহিদা পত্র দেন। সেই চাহিদা পত্রের আলোকে প্রথম অবস্থায় আট হাজার ডলারের সবজির একটি চুক্তিপত্র করি। পাঁচ টন করে চারটি শিপমেন্টে আমি তাকে সবজিগুলো পাঠাবো। এর মধ্যে আমারা আজকের শিপমেন্টসহ পনের টন সবজি রপ্তানি করি। আশাকরি আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে নতুন একটি সম্ভাবনারদ্বার তৈরি হয়েছে। আমাদের এই ধারবাহিকতা চলমান থাকবে।
আখাউড়া স্থল বন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলাম জানান, মূলত আখাউড়া স্থল বন্দর একটি রপ্তানিমুখী স্থল বন্দর। কিন্তু বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ কমে গেছে। এই সবজি রাপ্তানির মাধ্যমে স্থল বন্দরটি আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে এবং দেশ ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। তার পাশাপাশি বন্দরের রাজস্ব আদায়েও ভূমিকা পালন করবে।
বাবু/জেএম