বুধবার ভূমিকম্পের খারমানমারাস প্রদেশে উদ্ধার তৎপরতা সরেজমিনে পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের (সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধারকারী বাহিনীর) কিছু সমস্যা ছিল; যে কারণে শুরুর দিকে উদ্ধার তৎপরতায় তেমন গতি আনা সম্ভব হয়নি।’
‘এখনও জ্বালানির ঘাটতিসহ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে আমাদের….তবে আশা করছি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে উদ্ধার তৎপরতা আরও গতিশীল হবে।’
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহমানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
সোমবারের আকস্মিক এই দুর্যোগের দু’দিন পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও প্রবল শোকের ধাক্কা থেকে বেরোতে পারছেন না দুই দেশের বাসিন্দারা। কারণ, তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দু’দিনে তুরস্কে ধসে পড়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৫৭৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন কর্মীরা। আর সিরিয়ায় উদ্ধার করা মরদেহের সংখ্যা ২ হাজার ৬৬২ জন ছাড়িয়ে গেছে।
বৈরী আবহাওয়া ও বিপর্যয়ের ব্যাপকতার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে শত শত ভবনের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছে বহু মরদেহ, আটকা পড়ে আছেন অনেক জীবিত লোকজনও। তাদের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, কিন্তু উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
তাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যাদেরকে দ্রুত উদ্ধার না করলে ধংসস্তূপের মধ্যেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবেন। দুই দেশের উদ্ধারকর্মীরাও অনুমান করতে পারছেন না— এখনও কত সংখ্যক মানুষ চাপা পড়ে আছেন ইট-পাথরের জঞ্জালের নিচে।
সূত্র : রয়টার্স
বাবু/এসআর
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |