আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনাটি।
এ ঘটনায় ওই গ্রামের মৃত রাজেন্দ্র সরকারের ছেলে রমেন্দ্র চন্দ্র সরকার একই গ্রামের মৃত মামুদ হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় গত বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বরাতে জানা গেছে, রমেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে নেত্রকোণার কেন্দুয়া সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন নজরুল ইসলাম। ওই জমি নিয়ে গ্রাম্য সালিশীতে কয়েকবার দেন দরবার হলেও তার মীমাংসা হয়নি। আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় কৌশলে জমিতে ঘর তৈরির মাধ্যমে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন নজরুল।
রমেন্দ্র চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে বলেন, নজরুল গং আমার বিরুদ্ধে সহকারি জজ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলার রায় হওয়ার আগেই সম্পত্তি দখলে নিতে তার খরিদ করা সম্পত্তিতে নজরুল গংরা স্থায়ীভাবে ঘর উঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে গত বুধবারই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতে মামলা শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত উভয়পক্ষকে বিরোধপূর্ণ জমিতে কোনো প্রকার স্থাপনা না ওঠানোর জন্য নিষেধ করেন।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে নজরুলের মা সখিনা আক্তার বলেন, ওই সম্পত্তি তার স্বামী মামুদ হোসেন খরিদ করেছিলেন। কিন্তু রেজিস্ট্রি হয়নি। কিছু সম্পত্তি তাদের দখলে আছে আবার কিছু সম্পত্তি তাদের দখলে নেই বলে তিনি দাবী করেন। সখিনা আরও বলেন, আমাদের খরিদ করা জায়গাতেই আমরা ঘর উঠাচ্ছি।
রঘুনাথপুর গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা রবি চন্দ্র বলেন, বিরোধপূর্ণ ওই সম্পত্তি রমেন্দ্র চন্দ্র সরকারের খরিদ করা সম্পত্তি। তার পাকাপুক্ত দলিলপত্র আছে। আদালতে মামলা করে নজরুল গংরা জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এটা একদম ঠিক না।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন বলেন, যেহেতু এই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা আছে, সেজন্য মামলা শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
-বাবু/এ.এস