লাকসাম-আখাউড়া ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পর্যাপ্ত জায়গা না রেখে বসতবাড়ি ঘেঁষে নতুন রেললাইন বসানো হয়েছে। স্টেশনের দক্ষিণে পৌর শহরের চন্দনসার এবং দেবগ্রাম মৌজায় ভূমি অধিগ্রহণ করে নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। রেলওয়ের ভূমির পশ্চিম ও পূর্বে সীমানায় বসতবাড়ি ঘেঁষে রেললাইন বসানো হয়েছে। রেললাইনের পাশেই বেশকিছু আধাপাকা বাড়িঘর ও একটি মসজিদ রয়েছে।
এসব বাড়িঘরে নারী-শিশুসহ বহু মানুষ বসবাস করে। এ ছাড়া পূর্বদিকেও রেললাইনের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হয়নি। ট্রেন চলাচলকালে শব্দ দূষণের পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। লাইনের ১০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা থাকার কথা নয়। এর দেখভালের দায়িত্ব রেলের সম্পত্তি বিভাগের। কিন্তু এখানে ক্ষুধ রেল বিভাগ বসতঘর থেকে মাত্র ৭/৮ ফুট দূরে রেললাইন বসানো হয়েছে।রেলওয়ের ভূমির সীমানা খুঁটির পাশেই ব্যক্তি মালিকানার ১০/১৫টি আধাপাকা বসতবাড়ি।
এসব বাড়িতে শতাধিক মানুষ বসবাস করে। বসতবাড়ি ঘেঁষে রেললাইন বসানোর কারণে এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভারি যন্ত্রপাতির ভাইব্রেশন লাগছে ব্যক্তিমালিকানা বিল্ডিংয়ে। বিল্ডিংয়ের কয়েকটি স্থানে ফাটলও দেখা দিয়েছে।এতে প্রাণহানিসহ মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া ভারি যন্ত্রপাতির ব্যবহারজনিত ঝাঁকুনির কারণে স্থাপনা ভেঙে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাই জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নিরাপদ দূরত্বে রেললাইন বসানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তাদের এসব উদ্বেগের কথা জানিয়ে লাকসাম-আখাউড়া ডাবল রেললাইন প্রকল্প পরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যপারে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, যেভাবে বাড়িঘর ঘেঁষে রেললাইন বসানো হয়েছে কোনো কারণে যদি রেল দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে উদ্ধার কাজ করার মতো রেলের জায়গা নাই। জনগণের সার্বিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে রেললাইন স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আগেও জায়গা দিয়েছি প্রয়োজনে আরও দেবো। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে না। শুধু ট্রেন সানটিং করবে। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা নাই। রেলের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রজেক্টের কস্ট (খরচ) লিমিটের মধ্যে রাখার জন্য কোনো কোনো জায়গায় সীমানার কাজ করা হয়েছে। এটা ডিজাইন ফেজে যারা কাজ করেছে তাদের বিষয়।
-বাবু/এ.এস