ঢকা-উলানিয়া-ইলিশা রুটে লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ নাহলে আগামী রমজানের ঈদের মৌসুমে উলানিয়া ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই এলাকার যাত্রীরা।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সাধারণ যাত্রীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। বক্তারা বলেন, ঢাকা-বরিশাল রুটে ডেকের লঞ্চ ভাড়া ২০০ টাকা। অথচ ঢাকা-ইলিশা (ভোলা) রুটে এ ভাড়া ৫০০-৭০০ টাকা। ঢাকা-ইলিশা রুটের লঞ্চগুলো উলানিয়া ভিড়ে। ফলে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়ার জালে বন্দি। ঢাকা-বরিশাল রুটের চেয়ে ঢাকা-উলানিয়া রুটে দূরত্ব কম হলেও এখানে ভাড়া তিন গুণ হওয়ায় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পারভেজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান আরজু, দৈনিক সমকালের সহ-সম্পাদক মিজান শাজাহান, পুলিশ কর্মকর্তা জাফর ইমাম সজীব, সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম আকাশ, নুরুল আমিন নান্টু, আদনান খাল অলি, মোমিন মেহেদি, লায়ন শান্তা ফারজানা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরিশাল বিভাগের ৫টি জেলার বাসিন্দারা উপকৃত হলেও ভোলা জেলা উপকূলীয় হওয়ায় সুবিধা বঞ্চিত। একইভাবে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাও উপকূলীয় হওয়ায় বঞ্চিত। এ সুযোগে লঞ্চ মালিকরা ভোলা ও মেহেন্দিগঞ্জকে ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা ওই রুটের যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে।
মানববন্ধন, স্মারকলিপি, অনশন করে দাবি আদায় না হলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। অসুস্থ থাকায় সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি উলানিয়ার কৃতী সন্তান, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি আসাদ চৌধুরী। তবে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যাত্রীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। মানববন্ধনে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, চাকরীজীবী, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাবু/জেএম