নীলফামারীর ডোমারে তিন বাংলার আয়োজনে শহীদ রুমি’র জন্মতিথি উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ রুমি’র জন্মতিথি উদযাপন কমিটি।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ ধীরাজ মিজান পাঠাগারে সংবাদ সম্মেলনে শহীদ রুমি’র জন্মতিথি উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডোমার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানুর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ডোমারের পুত্রবধু। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও খাটুরিয়া গ্রামের প্রকৌশলী শহীদ শরীফ ইমামের কৃতি সন্তান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রুমি। তিনি একাত্তরের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবনদান করেন। ঐতিহাসিক "ক্র্যাক প্লাটুনের এই যোদ্ধা ডোমারের গর্ব।
বাবার চাকরির সুবাদে ১৯৫১ সালের ২৯ মার্চ তিনি পূণ্যভূমি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে এবং কৈশোরে তিনি পৈতৃক নিবাস খাটুরিয়ায় আসতেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান। কিন্তু ১৯৭১ এর মার্চে যুদ্ধ শুরু হলে ২০বছর বয়সী রুমি তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে আগরতলা মেলাদহে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্রাক প্লাটুনের সদস্য হন। ঢাকায় একাধিক অপারেশন চালিয়ে শত্রুপক্ষের ভীত কাঁপান। অতঃপর ৩০ আগষ্ট পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়ে গায়েব হন। ওই রাতে পিতা শরীফ ইমাম গ্রেফতার ও পরে শহীদ হন। রুমির সহোদর সাইফ ইমাম গ্রেফতার হলেও পরে মুক্তি পান।
এই প্রথম বারের মতো তিন বাংলার আয়োজনে শহীদ রুমির ৭২তম জন্মতিথি উদযাপন করা হবে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খাটুরিয়া গ্রামে।
জন্মতিথি ঘিরে থাকছে ২০২২ সালে এসএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ০৯ জন কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের সম্মাননা। স্বাধীনতা পরবর্তী ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ও বর্তমান কমান্ডার বৃন্দদের সম্মাননা প্রদান। এ ছাড়াও থাকছে সমাবেশ, চিত্রকলা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী ১, ২ ও ৩ মার্চ শহীদ রুমির জন্মতিথি উদযাপন করা হবে।
এতে উপস্থিত থাকবেন, শহীদ রুমির সহোদর আমেরিকা প্রবাসী সাইফ ইমাম জামী ও জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনকারী অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম জাহান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তিন বাংলা গ্লোবাল সভাপতি আমেরিকা প্রবাসী কবি-কথক সালেম সুলেরী, ডোমার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরন নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ও শহীদ ধীরাজ মিজান পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক আনজারুল হক।
বাবু /জেএম