রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই বেলারুশ সীমান্তে ব্যাপক আকারে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইউক্রেন। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের রিভনে অঞ্চলে ভারী অস্ত্র নিয়ে সামরিক অনুশীলন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনের মাটিতে শত্রুদের নতুন করে যে কোনো আগ্রাসন প্রতিহত করতেই তাদের এ পদক্ষেপ।
দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে যখন ব্যস্ত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তখন বেলারুশ সীমান্তে নতুন করে হামলার আশঙ্কায় দেখা দেয়ায় তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগ। এমন অবস্থায় অঞ্চলটিতে ব্যাপক আকারে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এ অনুশীলনে সরাসরি গুলির পাশাপাশি ভারী অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া অত্যাধুনিক ট্যাংক, হিমারস ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ভারী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে মহড়ায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেখায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। দুর্গম এলাকায় শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে টিকে থাকার কৌশল রপ্তের পাশাপাশি জনবহুল এলাকায় কীভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এই মহড়ায় সেটিও ঝালিয়ে নেয়া হয়।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার সার্থি নেয়েভ বলেন, রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের এক বছর হতে চলল। এই যুদ্ধে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই এই অনুশীলন। কীভাবে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলা করা যায় সেই বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা কাউন্সিলে সদস্যরা বলছেন, দোনেৎস্কে রুশ বাহিনী কিছুটা দুর্বল হওয়ায় নতুন বছরে রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশও ইউক্রেনে হামলা শুরু করতে পারে। আর সে আশঙ্কা থেকেই সীমান্তে এই সামরিক মহড়া। বেলারুশের যে কোনো সামরিক তৎপরতা রুখে দিতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত জানায় দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ।
এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ২ প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ ও পোল্যান্ডের মধ্যে। বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা দেয় পোল্যান্ড। নিরাপত্তার কথা বলে বেলারুশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং বাব্রোওনিকি শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে বন্ধের ঘোষণা দেয় পোল্যান্ড। এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বেলারুশ।
বাবু/এ আর