বুধবার ২৫ জুন ২০২৫ ১১ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২৫ জুন ২০২৫
বুকভরা আশা নিয়ে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছে ডিমলার কৃষকরা
বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী)
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:৩২ PM
কর্মক্ষেত্রে সাধারণ চাকরিজীবীদের ছুটি থাকলেও কৃষকদের কোনো ছুটি নেই। একটার পর একটা কৃষিকাজ লেগেই থাকে। আর কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় কৃষকদের। আমন ধান কাটার পরে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন কৃষি আবাদ। শাক-সবজি, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের চাষাবাদ শেষ হতে না হতেই আবার শুরু হয়ে যায় বোরো ধান রোপণের সময়। এখন বোরো ধান লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ডিমলার চাষিরা।

ঘণ কুয়াশা কেটে যাবার সাথে সাথে তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরোর জমি তৈরি ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউবা বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। যারা আগাম চারা রোপণ করেছেন তারা সেই জমিতে সেচ দিচ্ছেন। গত বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই সাথে বাজারে ধানের ভাল দাম না পাওয়ায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষিরা। সকল হতাশাকে দূরে ঠেলে দিয়ে আবারও বুকভরা আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা গেছে- ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, খগা খড়িবাড়ী, টেপা খড়িবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, ডিমলা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে বোরো ধান রোপণ করেছে কৃষকরা।

বালাপাড়া দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমন ঘরে তোলার পর প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে এ চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। ইরি-বোরো চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় পৌষ-মাঘ। এ দুই মাস বোরো জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণে সময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা তাদের দমাতে পারে না। তাই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। তিনি এবার ৩ একর বোরো রোপন করবেন এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। একই গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন ৮ বিঘা জমিতে বোরোচাষ করছেন। এই দুই কৃষক জানান শ্রমিকের মুজুরি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়াতে বোরোচাষ লোকসান হয়। ফলন ভালো হলে তারা লাভবান হবেন বলে মত প্রকাশ করেন।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর ডিমলা উপজেলায় বোরো ধানের ফলন ভালো হবে আমরা আশাবাদী। এ বছরে উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ২শত ৫৪ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। বোরো ধানের চারা রোপনে সঠিক পদ্ধতি ও সরকার অনুমোদিত জাতের বীজের বোরো ধানের চারা রোপণে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। কৃষি অফিসের আশা এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  ডিমলা   কৃষকরা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত