শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
সন্তানের মুখ দেখলেন সদ্য উদ্ধার কৃত নারী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২:২৬ PM আপডেট: ১৭.০২.২০২৩ ২:৪৭ PM
ফাতেন আল ইউসুফি নামের এক ইয়েমেনি নারী তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসেপড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েন। প্রায় ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়ার পর একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ফাতেন। 

তিনি তুরস্কের মালাতইয়ায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। যখন ভূমিকম্প আঘাত হানে, তখন ফাতেন ৩৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নিজের অনাগত সন্তানকে বরণ করে নিতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাকে।

আতঙ্ক, তৃষ্ণা ও নিজের অনাগত সন্তানকে নিয়ে ফাতেন যখন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন, তখন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন পারিবারিক বন্ধু হিসাম। অন্য উদ্ধারকারীদের সহায়তায় ফাতেনকে টেনে তুলতে সমর্থ হন তিনি। উদ্ধারের পর ইয়েমেনি এ নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন তিনি।

তবে এর পরই নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদটি পান ফাতেন। তিনি জানতে পারেন, ধসেপড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে তার স্বামী বুরহান আল আলিমি মারা গেছেন। ভূমিকম্পের তিন দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুরহান মালাতইয়ার ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

ফাতেন ২০১৪ সালে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইয়েমেন থেকে তুরস্কে পাড়ি জমিয়েছিলেন। নিজ জন্মভূমি ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ চলায় সেখান থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল তাকে।
এর পর বুরহানের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। যখন নতুন করে নতুন এক দেশে নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন ভূমিকম্পে সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। ফাতেন বলেন, আমরা এখন আমার মেয়ের জন্য একটি ভালো জীবনের প্রত্যাশা করছি। কিন্তু সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কেউ জানে না শেষটা কী রকম হবে।  সূত্র , বিবিসির


বাবু/এ আর 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  তুরস্ক   সিরিয়া   ভুমিকম্প   







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত