শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
মাছ চাষ শিখতে বিদেশে যাওয়ার ‘আবদার’করেছে মৎস্য অধিদপ্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:৫৩ PM

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এমন অবস্থায় সরকারি প্রকল্পে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে এরমধ্যে মাছ চাষ শিখতে বিদেশে যাওয়ার আবদার করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এজন্য একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

জানা গেছে, বিদেশে প্রশিক্ষণে খরচ হবে প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ২২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা।

তবে ঠিক কত দিনের জন্য, কতজন কর্মকর্তা বিদেশে যেতে চান- এ বিষয়গুলো প্রস্তাবে স্পষ্ট নয়। বিষয়গুলো জানতে চেয়ে মৎস্য অধিদপ্তরে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

জানা গেছে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনায় অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান নেশন্সের (আসিয়ান) কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নেবে বাংলাদেশ। এজন্য ‘মৎস্য চাষ ও মৎস্য খাত আসিয়ান বাংলাদেশের সহযোগিতা (টিপিপি)’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলন (গ্যাপ), ক্লাস্টার একোয়া কালচার ফার্মিং বাস্তবায়নের (এএমএস) উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্য খাতে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আসিয়ানের সহযোগিতা নেবে বাংলাদেশ।

দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আসিয়ান সদসদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশে দুটি কর্মশালা, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও প্রতিবেদন জমা। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় নিরাপদ মাছচাষ, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। মাছের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শিখবেন মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই প্রকল্পের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো আসিয়ানের সঙ্গে সেক্টরাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হওয়া। আসিয়ানভুক্ত দেশ হতে হলে আগে সেক্টরাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হতে হয়। এ প্রকল্পটি সেই উদ্দেশ্যে নেওয়া।

দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আপাতত বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত থাকলেও এই প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। নিজেদের দক্ষতা অর্জনের জন্যও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বাংলাদেশের চেয়ে ইন্দোনেশিয়াসহ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো মাছচাষে অনেক এগিয়ে।

মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প নেওয়ার এই যুক্তির বিষয়ে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ তো আসিয়ানভুক্ত দেশ হতে পারবে না। সর্বোচ্চ তাদের সহযোগী দেশ হতে পারে। অথবা ব্যবসায়িক চুক্তি হতে পারে। মৎস্য চাষ দিয়ে এগুলোর কিছুই হবে না। তবে উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। যারা প্রশিক্ষণের উপযুক্ত তারা যায়, তাহলে প্রস্তাবের যৌক্তিকতা আছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা না গিয়ে যদি অন্য কর্মকর্তারা সফরে যান, তাহলে সেটি পুরোপুরি অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  মৎস্য অধিদপ্তর  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত