সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ ৯ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ২৩ জুন ২০২৫
সুন্দরবনে ক্যামেরা চুরির মামলায় কারাগারে সেই ১৪ জেলে
সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:১০ PM

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় করা মামলায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও তাদেরকে আটক করা হয়েছিল সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার কারণে। অবৈধভাবে অভয়ারণ্যে মাছ শিকারের অভিযোগেও তাদের নামে মামলা হয়েছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক অভিযোগে আটকদের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

তবে গ্রেপ্তারদের স্বজনদের অভিযোগ, বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন, ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়, যা এখনও চলমান। বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত আটটি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে।

সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে আটটি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।

এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় তার ছেলেকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার ধারণা, যারা সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত, তারাই ক্যামেরা অপসারণ করতে পারে। প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে চুরির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরায় তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে সুন্দরবনের ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।’

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত