নেত্রকোনার পূর্বধলায় ক্ষমতার দাপটে নিলামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গাছ কাটায় নিলামকারী মো. কামরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই মামলার দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদিকুল জাহান রিদান।
গত বছরের ১১ অক্টোবর উপজেলায় কলেজ রোড ও কাপাশিয়া রোডে ৯টি গাছ নিলামে বিক্রি করে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। ৯৬ হাজার ৫শত টাকায় গাছগুলো ক্রয় করেন অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ'র যুগ্ম সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম খান। গত ২৪ নভেম্বর ৯টি গাছের স্থলে ১৬টি গাছ কর্তনের লিখিত অভিযোগ উঠে নিলামকারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২১ নভেম্বর উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত ১৫টি গাছ কাটার প্রমানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনের প্রক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি নিলাম ডাক বহির্ভূত ৬টি মেহগনি গাছ অবৈধভাবে কর্তনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়। এক মাসেও মামলা না হলে পুনরায় ২৯ জানুয়ারি আবারও একটি তাগিদ পত্র দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির প্রধান মো. সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, অতিরিক্ত কাটা ৬টি গাছের কিছু অংশ জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
বাবু/এ আর