টাঙ্গাইলের সখীপুরে সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের সাথে নার্গিস আক্তারের (১৯) মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ মাস পর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে রহস্যজনক মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বৈলানপুর গ্রামে একটি থাকার ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে সখীপুর থানায়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্বামী শহিদুল প্রাবাসে থাকলেও মাঝে মধ্যেই স্ত্রী নার্গিস আক্তার স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে আসতো। গত এক সপ্তাহ আগে স্বাভাবিকভাবেই নার্গিস শ্বশুরবাড়িতে এসে রাত্রিযাপন করে। বৃহস্পতিবার রাতে নার্গিস তার বাবা ও পরিবারের সবার সাথে রাতের খাবার খেয়ে তার রুমে ঘুমাতে যায়। সকালে তার রুমে লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় পরিবার।
সখীপুর থানার এস আই আব্দুল মতিন বলেন, পরিবারিকভাবে কেউ কিছু বলতে পারছে না, কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। লাশের সাথে ওই মেয়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায় নাই। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বাবু/জেএম