চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ‘সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেড’র প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ হাজার এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এসব সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পরে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে আহতদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সাড়ে সাত হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে পরে আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেড’ নামের কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদৎ হোসেন বিস্ফোরণে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ৩০ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতদের অনেকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে ভরা হচ্ছিল অক্সিজেন। এসময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে বেশ কয়েকটি সিলিন্ডারে। মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের তিনটি ইউনিট। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও ছয়টি ইউনিট। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, বড় সিলিন্ডার থেকে যখন ছোট সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরা হচ্ছিল, তখন অতিরিক্ত প্রেসারের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে। অথবা সিলিন্ডারের মেয়াদও শেষ হয়ে যেতে পারে। তদন্ত ছাড়া এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনার আশরাফুল আলম বলেন, উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দিতে পারছি না।
-বাবু/এ.এস