জেল সুপার শাহ আলম খান বলেছেন, কক্সবাজার কারাগারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কারা অভ্যন্তরের উন্মুক্ত স্থানে সম্মেলিতভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দেখল এবং শুনল কারাবন্দীরা। প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের উপরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় বন্দীদের। একইভাবে কারাগারে প্রবেশের মূল ফটকেও দেখা যাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের উপরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন।
তিনি জানান, যেখানে বন্দীরা বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন এবং বাঙ্গালীর জন্য সংগ্রামকরা জীবন ইতিহাস দেখতে পাবে। সাথে বন্দীরা দেখবে বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এর আগে কারা অভ্যন্তরে বন্দিদের ওয়ার্ডে শুধুমাত্র বিদ্যমান ছোট্ট টিভিতে অনুষ্ঠানগুলো দেখতে পেত। সম্মেলিতভাবে উন্মুক্ত স্থানে কোন কিছু দেখার সুযোগ ছিল না। ৭ মার্চ সকালে কক্সবাজার কারাগারে গেলে জেল সুপার এসব কথা বলেন।
সরেজমিনে কারাগারে গেলে, সদ্য জামিনে কারামুক্ত বেশ কয়েকজন বন্দীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বর্তমান জেল সুপার মো. শাহ আলম খানের যোগ্য নেতৃত্বে এই কারাগারে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমুল ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সূত্রমতে, মো. শাহ আলম খান জেল সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিধিবিধান অনুসরন করেই কারাগার পরিচালিত হচ্ছে। বিধিমোতাবেক প্রাপ্য সব সুবিধা বন্দীদের সমানভাবে দেয়া হচ্ছে।
সূত্রগুলো বলছে, জেল সুপারের নেতৃত্বে কারাগারে শান্তি-শৃঙ্খলা সৃষ্টি, কারা মনিটরিং, অসুস্থ বন্দীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, কারা ক্যান্টিনে ন্যায্যমূল্যের ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক তদারকি, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পৌঁছে দিতে কাজ করছেন কারাগারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ডেপুটি জেলার আব্দুস সোবহান জানান, আমি যোগদানের পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারাবন্দীদের প্রত্যক্ষ সেবা প্রদান করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারাগারে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা কোন কার্যক্রম প্রশ্নবৃদ্ধ হয়, এমন কার্যক্রম যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।
জেলার শওকত হোসেন মিয়া জানান, আমি যোগদান করেছি মাত্র এক-দেড় মাস হলো। কারাগারে বন্দীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
বাবু/জেএম