সুস্থ থাকতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে এর মধ্যে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। তা হলো, দেহে যেন পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। এর জন্যে কেবল তৃষ্ণা পেলেই যে পানি খেলে কাজ হয়ে যাবে তা নয়। এ ভুলটাই বেশির ভাগ মানুষ করে থাকেন।
তৃষ্ণার অপেক্ষায় না থেকে সারাদিন এক দুই চুমক পানি মুখে দিতে হবে। নয়তো দেহে ডিহাইড্রেশন দেখা দেবে। এতে অবসাদ হয়ে পড়ে দেহ।
রিপ্রোডাক্টিভ বায়োলজির কনসালটেন্ট পারুল আর শেঠ জানান, ডিহাইড্রেশন তখনই দেখা দেয় যখন দেহ পানি গ্রহণের চেয়ে ত্যাগ করে বেশি। আবার দেহের যতটুকু তরল ত্যাগ করা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি বেরিয়ে গেলেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। বাইরে বহু সময় পানি না খেয়ে থাকলে পানির অভাব দেখা দেবে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতেও পানি গুরুত্বপূর্ণ। খরতাপে ঘামতে ঘামতে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। ডায়রিয়া এবং খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ :
১. দুর্বলতা অনুভব করা।
২. প্রচণ্ড তৃষ্ণা লাগা।
৩. শুষ্ক মুখ এবং বুক ধড়ফড় করা।
৪. অবসাদ ভর করা।
৫. মূর্ছা যাওয়ার অবস্থা।
চিকিৎসা :
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে এর ব্যবস্থা করা যায়। ডিহাইড্রেশন হলেই প্রচুর পানি খেতে হবে। এ ছাড়া অবস্থা বেগতিক হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। গোটা দিনে অল্প অল্প চুমুক দিয়ে খান। এমনকি বরফ চুষে খেলেও উপকার মিলবে। একটি ভিজে তোয়ালে নিয়ে মুখ, হাত ও গা মুছে নিন। সিট্রাস জাতীয় ফলের রস খাবেন বেশি বেশি।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে :
সব সময় তৃষ্ণার্ত থাকা ডিহাইড্রেশনের অন্যতম লক্ষণ। তাই পানি এবং পানিপূর্ণ ফল খেতে হবে। গরমের দিনে ডাবের পানি বা লেবুর শরবতের মতো ঠাণ্ডা বেভারেজও উপকার দেবে। এ ছাড়া স্যুপ, সালাদ, দইসহ অন্যান্য পানিপূর্ণ ফল ও খাবারে ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি মিলবে। বাইরে গেলে সব সময় বোতলে করে পানি নিন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
-বাবু/এ.এস