জিপিটি-৪ এর দিকে ইংগিত করে তিনি আরও দাবি করেন, সামনের সপ্তাহের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখবে, চরিত্র তৈরি করবে এবং মনুষ্য অংশগ্রহণ ছাড়াই পুরো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে পারবে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এর মাধ্যমে ২০০ পৃষ্ঠার বই একদিনে লিখে ফেলা সম্ভব হবে।
কিন্তু ফোর্বসেরই অপর এক প্রতিবেদন বলছে, চার্লস ওউজির অধিকাংশ দাবিই সম্ভবত সত্য নয়। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান এরই মধ্যে জিপিটি-৪ এ ১০০ ট্রিলিয়ন মেশিন লার্নিং প্যারামিটার ব্যবহারের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, খুব সম্ভব নতুন করে মেশিন লার্নিং প্যারামিটারই যুক্ত করা হবে না। যদিও কিছু কিছু সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, জিপিটি-৩ এর থেকে প্যারামিটার ১০০ গুণ বেশি থাকবে জিপিটি-৪’এ। সেক্ষেত্রেও তা ১৭ ট্রিলিয়নের বেশি হওয়ার কথা নয়।
একই সঙ্গে জিপিটি-৪’এ কোনো ইমেজ জেনারেটিং, গ্রাফিক্স এডিটিং বা ভিডিও এডিটিং-এর মতো কোনো ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে না, এই বিষয়টি স্যাম অল্টম্যানই নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে ফোর্বস। জিপিটি-৩ এর ধারাবাহিকতায় জিপিটি-৪ কেবল টেক্সট-অনলি মডেল হিসেবেই থাকছে।
তবে জিপিটি-৪ প্রোগ্রামিং ও গাণিতিক দক্ষতায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা অ্যানালাইসিস ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ল্যাঙ্গুয়েজগুলো হলো জাভাস্ক্রিপ্ট, পাইথন ও সি++। জিপিটি-৪’এ এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কম্পিউটার কোড আরও দ্রুত ও বিস্তৃতভাবে লিখতে পারবে। ফলে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার খাতে এর ব্যবহার আরও বাড়বে।
-বাবু/এ.এস