শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫
বায়ু দূষণ মুক্ত যন্ত্র আবিস্কার করে তাক লাগালেন বগুড়ার আমির হোসেন
মাহফুজ মন্ডল, বগুড়া
প্রকাশ: রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩, ৭:০২ PM

আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র ব্যবহার করেই ঢাকা শহর বায়ু দূষণ মুক্ত করা সম্ভব। যন্ত্রটি শতভাগ পরিবেশবান্ধব। বায়ু দূষন মুক্ত এই যন্ত্রটি আবিস্কার করে গোটা জাতীকে তাক লাগিয়ে দিলেন বগুড়ার যন্ত্রবিজ্ঞানী খ্যাত মোঃ আমির হোসেন।

এই যন্ত্রের উদ্ভাবক আমির হোসেন দাবি করেছেন, বাতাসে চলমান ধুলাবালিসহ দূষিত যে বিভিন্ন রকমের জীবাণু তা আর থাকবেনা। দূষণ প্রবাহিত হবে, দূষিত বায়ু এই যন্ত্রের মাধ্যমে ক্যাপচার করে বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহিত হবে এতে করে পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে। 

অসম্ভবকে সম্ভব করাই বিজ্ঞানের কাজ। এগুলো এখন অনেকের স্বপ্নের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কত কিছুই তো আবিষ্কার করা সম্ভব। এই সময় কার্বন পরিশোধন ও বায়ু দূষণ প্লান্ট নিঃসন্দেহে উৎসাহ ব্যাঞ্জক। তৈল কয়লা পুড়িয়ে কার্বন নিঃসরণ সীমায় আনতেই হবে। কার্বন পরিশ্রত বায়ু দূষণ মেশিনটি গাছের মতোই কাজ করবে কিন্তু অনেক বেশি ফল দিবে। যেমন-মেশিনটি বাতাস থেকে প্রতি বছরে ৫০০টন থেকে ৯০০টন কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে নেবে। ফিল্টার মেশিনের মাধ্যমে ফিল্টার করে দূষিত বায়ূ ও কার্বন চুষে নিয়ে বিশুদ্ধ বায়ু বের করে দেবে। তখন কার্বন ও বায়ু দূষণ মুক্ত হবে। প্রতিটি প্লান্ট আর তার সমতূল্য। একটি গাছ বছরে চুষে নিতে পারে মাত্র ৫০ কিলোগ্রাম কার্বন। তার মানে একই পরিমান কার্বন বের করে আনতে গাছের চেয়ে এই যন্ত্র বিজ্ঞানীর তৈরী মেশিনটি এক হাজার গুণ বেশি দক্ষ। প্রতিটি যন্ত্র ঢাকা শহরে প্রতিটি বিল্ডিং এ, প্রতিটি বাসা বাড়ির ছাদে, অফিস আদালত, স্কুল কলেজ, হাট বাজারসহ যেসব জমিতে কৃষি কাজ হয় না সে সকল জমি কিংবা টিলা জাতীয় ও জমির উপরে এই প্লান্ট বসানো যাবে। অব্যবহৃত কার্বন মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতে কাজ করলে ঢাকা শহরকে বায়ু দূষণ মুক্ত করা সম্ভব।

 এ যন্ত্রটি বয়োবৃদ্ধ, শিশু, অ্যাজমা রুগীসহ অসুস্থ মানুষদের খুব উপকারে আসবে। আমরা সরাসরি বাতাস থেকে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে থাকি এর মধ্যে বিভিন্ন জীবাণুতে ভরপুর। এই জীবানুযুক্ত বাতাসেই আমরা শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহন করি। কিন্ত আমরা কেউ তা বুঝতে পারিনা। এতে করে ফুসফুসের উপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং নতুন নতুন ফুসফুস জনিত নানা রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি হার্টেরও সমস্যা হচ্ছে। 

যন্ত্রবিজ্ঞানী আমির হোসেন বলেন, আমার তৈরী এ যন্ত্রটি চলমান বিষাক্ত দূষিত বায়ু ক্যাপচার করে রিফাইনিং করে বিশুদ্ধ বাতাস হালকা হয়ে প্রবাহিত করবে । এতে করে মানুষ জাতির ফুসফুসের সুস্থতা বাড়বে ও শরীর সুস্থ থাকবে, দীর্ঘদিন চলার সুযোগ পাবে মানুষজাতি। বাসাবাড়ি অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এক কোণায় ফ্যানের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন যে কেউ। এতে দুটি উপকার হবে (১)বিশুদ্ধ বাতাস প্রবাহিত হবে যাবে স্বাস্থ্যের উপর ঝুঁকি কমবে। আর একটি গরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এই যন্ত্রটি আগামীতে সবার জীবন রক্ষার সঙ্গী হবে। 

বাবু/ এনবি

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  বায়ু   দূষণ মুক্ত   







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত