গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩য় পর্যায়ে ৪র্থ ধাপে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমি ও গৃহহীন ২২টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ এ ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়।
ইউএনও মো. আসসাদিকজামান জানান, জমিসহ ২২টি ঘর নিয়ে এ উপজেলা ১৪৯টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্থান্তর করা হলো। আর এই হস্থান্তরের মধ্যে দিয়ে এ উপজেলা মুক্ত হলো ভূমিহীন।
তিনি আরো জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের পুনসহি মৌজায় ০.১৮ একর জমিতে ০৯টি, তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোম মৌজায় ০.১৪ একর জমিতে ০৭টি এবং বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাক্ষণগাঁও মৌজায় ০.১৮ একর জমিতে ০৯টি ঘরসহ মোট ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদানের মাধ্যমে এ উপজেলায় কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২য় পর্যায়ে বক্তারপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর মৌজায় ০.৪০ একর জমিতে ২০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ে তুমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজনগর মৌজায় ২.০৮ একর জমিতে ১০৪টি ভূমিহীন পরিবারকে একত্রে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
ইউএনও আরো জানান, দুই কামড়া বিশিষ্ট রান্না ঘর, বারান্দা ও টয়লেটসহ পাকা ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য একটি করে সাবমারসিবল পাম্প ও পানির ট্র্যাংকি বসানো হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরের জন্য আলাদা করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার, দক্ষিণ রাজনগর, বক্তারপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর ও ব্রাক্ষণগাঁও এলাকায় ২য় ধাপের ১য় পর্যায়ে ৪৫ জন ও ২য় পর্যায়ে ৪৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। নতুন ৩৭ জনসহ এ উপজেলায় ১২৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহহীনের তালিকায় অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে তালিকাভূক্ত নতুন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজনগর এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম শোভনের সঞ্চালনায় এ সময় ভূমি ও গৃহহীনের ঘর হস্থান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যাস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ হাবীব, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারাজানা তাসলিম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, সমবায় কর্মকর্তা মীর্জা ফারাজানা শারমিন, উপকারভোগী অলিল মিয়া, সাথী আক্তার প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী মো. বেলাল সরকার, উপজেলার বিভিন্ন দফতর প্রধানসহ হ কালীগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মাধ্যমে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-বাবু/এ.এস