১০ গ্রামের মানুষের নিয়মিত ডাকাতিয়া নদী পাড়াপাড়ের অন্যতম মাধ্যম একটি মাত্র বাঁশের সাঁকো । একটি পাকা সেতুর জন্য দীর্ঘ ৫০ বছর অপেক্ষা করেও পায়নি কাঙ্ক্ষিত কোন ফলাফল, এমনটাই অভিযোগ করেছেন রায়পুর উপজেলার ৫নং চরপাতা ইউনিয়নের বাসিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর উপর এই বাঁশের সাঁকোটি স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে তৈরি করা হয়, কিন্ত কিছুদিন যেতে না যেতেই পানির নিছে থাকা বাঁশের অংশ গুলো পঁচে নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয় গ্রামবাসীদের।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়ে নিয়মিত গাজীনগর, চরপাতা গ্রামের একাংশ, দ্বেবিপুর, সায়েস্তানগরসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার পথচারী স্কুল, মাদ্রাসা কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। অনেকসময় সাঁকো থেকে পড়েও মারাত্মক আহত হয়েছেন বলেও গ্রামবাসীরা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর ফারুকসহ অনেকে বলেন, সরকারি অথবা বেসরকারি ভাবে এখানে কোন সেতু নির্মাণ না করায় আমরা প্রতিবছর এলাকাবাসীদের উদ্যোগে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ-কাঠ যুগিয়ে সাঁকোটি চলাচলের জন্য সচল রাখার চেষ্টা করছি।
চরপাতা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মামুনুর রশীদ বলেন, স্থানীয় মানুষের চলাচলের স্বার্থে এই বাঁশের সাঁকোর স্থলে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে আসছি।
রায়পুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দিলিপ দে বলেন, অতিদ্রুত বাঁশের সাঁকোটির জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।
গাজীনগর-চরপাতা গ্রামের এই বাঁশের সাঁকোর স্থলে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা অত্যাবশ্যক বলে মনে করছেন সচেতন মহল, কারণ বর্তমান আধুনিক যুগে রিকশা-সাইকেল,সিএনজি বা অটো রিকশা চলাচলের যুগে যদি এই জায়গা দিয়ে সাঁকো অথবা নৌকা দিয়ে চলতে হয় তাহলে এটা হবে এই এলাকাবাসীর জন্য অত্যন্ত র্দুভাগ্য জনক।
বাবু/এনএইচ