নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সি.এ বাবন রায়ের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ মার্চ উপজেলার বড়শালজান একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্পাদকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ দেন জেলা প্রশাসক বরাবর।
অভিযোগ সুত্রে গেছে , জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ এর বিধান মোতাবেক ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৪৩০-১৪৩২ বাংলা টেন্ডারে "কয়রা উব্দাখালী" জলমহালের ডাকে অংশগ্রহণের জন্য যথানিয়মে প্রত্যয়পত্র পাওয়ার নিমিত্তে আবেদন দাখিল করলে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে জলমহালের অন্য একটি সমিতিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইজারা দেয়ার লক্ষ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী সমিতিকে প্রত্যয়নের অজুহাতে বাদ দিলে সমিতি সংক্ষুব্ধ হয়ে সহকারী জজ কলমাকান্দা ৭০/২৩ নং অন্য প্রকার মোকদ্দমা দায়ের করলে আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
উল্লেখিত নোটিশের কারণে সি.এ বাবন রায়, সমিতির সম্পাদক গ্রামীণ চৌকিদার ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাসকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেন, যদি মামলা প্রত্যাহার না করেন তবে তোমার চৌকিদারের চাকুরি বাতিল করা হবে। শুধু হুমকি দিয়েই থেমে থাকেনি, এলাকার কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন তিনি এবং সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে দিবে বলেও হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।
এমন অবস্থায় চৌকিদার বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস সমতির সম্পাদক নিরুপায় হয়ে সম্পাদকের পদ দায়িত্ব হতে অব্যহতি নেন এবং তার দায়িত্ব সমিতির সভাপতি নিপেন্দ্র চন্দ্র দাসের নিকট এফিডেফিটের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন।
সমিতির সদস্যরা বলেন, আমরা কর্মকরে মৎস্যজীবী হিসাবে মাছ ধরে বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করি। সমিতির ২৩ জন সদস্যই আমরা মৎস্যজীবী কার্ডধারী জেলে, গত দিনে সমিতি দিয়েই কয়রা উব্দাখালী জলমহালটি আমরা মৎস আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি, এখন বাবন রায় বলেন আমাদের কাগজ পত্র ঠিক নাই।
সি.এ বাবন রায় বলেন, আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ এনেছে, মিথ্যা মামলা করেছে, আমি এমনটি বলেনি।
বাবু/এনএইচ