দুই দিন ধরে নিঁখোজ রূপপুর প্রকল্পের চালকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ২৫ মার্চ সকালে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভেতর থেকে বস্তাবন্দী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর খেয়াঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন।
তিনি বলেন, নিহত যুবকের নাম সম্রাট (২৬)। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। রূপপুর প্রকল্পে ‘নিকিম’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানার পুলিশ সীমা খাতুন নামে এক নারীকে আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সাথে তার স্বামী মমিন খানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, গত বুধবার থেকে খেয়াঘাট এলাকায় গাড়িটি পড়ে ছিল। তাঁরা প্রথমে মনে করেছেন, গাড়ি রেখে পদ্মা পার হয়ে কেউ কাজে গেছেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন হোসাইন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও গাড়িটি দেখেছেন। তবে কেউ বেড়াতে এসেছেন ভেবে দেখে চলে যান। আজ খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। গিয়ে ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে। গাড়িটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একজন রুশ কর্মকর্তা ব্যবহার করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, ঘটনার পর থেকেই মমিন খান পলাতক রয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। মমিনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বাবু/ এনবি